রাজ্যের কোনও জায়গায় কোনও দুর্ঘটনা বা গোলমালের ঘটনা ঘটলে তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসি ক্যামেরার উপর ভরসা করে পুলিশ। মূলত জেলা পুলিশ থেকে ‘মনিটরিং’ করা হয়ে থাকে। আবার কোনও ঘটনার প্রেক্ষিতে যদি জেলা পুলিশের কাছ থেকে রাজ্য পুলিশের কর্তারা রিপোর্ট চান, তখনও প্রমাণের স্বার্থে সিসিটিভি ফুটেজের উপর জোর দেওয়া হয়। তবে এ বার নবান্ন থেকে সরাসরি নজরদারি করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মূলত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায় এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের তত্ত্বাবধানে নবান্নের অদূরে ডিজি কন্ট্রোল রুমে শুরু হয়েছে ‘মনিটরিং সেল’ তৈরির কাজ। জানা যাচ্ছে, ওয়েবেল-সহ তিনটি সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা ‘বিশেষ ঘর’ গড়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘চুরি-ডাকাতি-সহ যে কোনও অপরাধের ঘটনা ঘটলে সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। জেলা পুলিশ তার পরিচালনার দায়িত্বে থাকে। যেমন, হাওড়া গ্রামীণে কোনও ঘটনা ঘটলে সেখানকার জেলা পুলিশ তা ‘মনিটর’ করে। তবে এ বার আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে পুরো ব্যবস্থাকে। আইনশৃঙ্খলার দিকে নজর রেখে এটা একটা বড় উদ্যোগ।’’
২০২৬ সালের মধ্যে কাজ শেষ করে ফেলার পরিকল্পনা থাকলেও বেশ কিছু বাধাও আছে। যেমন, অনেক গ্রামীণ এলাকায় এখনও সিসি ক্যামেরার বন্দোবস্ত করা যায়নি। আবার অনেক রাস্তার সিসি ক্যামেরা খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। এই কাজ করতে গেলে আগে রাস্তাঘাটে সিসি ক্যামেরা লাগানো কিংবা সারানোর কাজও করে ফেলতে হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ওই পদস্থ কর্তা। নবান্ন সূত্রে খবর, সে সব মাথায় রেখেই কাজে নামা হয়েছে। কোন কোন জায়গায় সিসি ক্যামেরা খারাপ, কোথায় সিসি ক্যামেরার অভাব, সব কিছুর খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।