• ‘হিন্দু রক্ষী দল’ শক্তিশালী করতে উদ্যোগী সেবাশ্রমের সেই কার্তিক মহারাজ, সদস্য নিয়োগ শুরু বিজ্ঞাপন দিয়ে
    আনন্দবাজার | ২৭ নভেম্বর ২০২৪
  • হিন্দুদের রক্ষা করতে ‘হিন্দু রক্ষী দল’ গড়ার ভাবনা নিয়েছিলেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবনানন্দ। বাংলায় আশ্রমের উদ্যোগে অনেক জায়গাতেই এমন বাহিনী গড়ে উঠেছিল একটা সময়ে। এখন আবার তেমনই দল গড়তে উদ্যোগী ভারত সেবাশ্রম। মুর্শিদাবাদে সেই কাজে গতি আনতে সমাজমাধ্যমে ‘রক্ষী’ নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিলেন সেবাশ্রমের কার্তিক মহারাজ (স্বামী প্রদীপ্তানন্দ)। তাঁর দাবি, কাউকে আক্রমণ করার জন্য নয়, হিন্দু যুবকদের সুপথে চালিত করা এবং সমাজে এখনও থেকে যাওয়া জাতপাতের সমস্যা দূর করার কাজ করবে রক্ষী দল।

    অতীতে তাঁর নানা কাজের জন্য রাজ্য রাজনীতিতে পরিচিত হয়েছেন এই কার্তিক মহারাজ। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় গত লোকসভা নির্বাচনের সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে রাজনীতি করা তথা বিজেপিকে সাহায্য করার অভিযোগ তুলেছিলেন। এর পরে তাঁকে তথা সন্ত সমাজকে অপমান করা হয়েছে অভিযোগ তুলে কার্তিক মহারাজ কলকাতায় বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সাধু-সন্ন্যাসীদের নিয়ে খালি পায়ে মিছিল করেন। আরজি কর-কাণ্ডের সময়েও তিনি কলকাতায় মিছিল করেছেন।

    মুর্শিদাবাদ জেলায় ভারত সেবাশ্রমের একটি আশ্রম সামলান কার্তিক মহারাজ। ওই জেলার বিভিন্ন শহর ও গ্রামে রয়েছে ভারত সেবাশ্রম পরিচালিত ১২টি হিন্দু মিলন মন্দির। সব শাখা এবং মিলন মন্দির মিলিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার জন্য একটি কেন্দ্রীয় রক্ষী বাহিনী গড়তে চান কার্তিক মহারাজ। সদস্যদের নানা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে আশ্রমের পক্ষে। কার্তিক মহারাজ বলেন, ‘‘আমরা মূলত আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দেব। তার জন্য ক্যারাটে শেখানো হবে যুবকদের। পাশাপাশি লাঠি চালানোও শেখানো হবে। এটা যেমন আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, তেমনই অন্যকে রক্ষা করতে পারে।’’

    ওই বাহিনীর ‘কাজ’ সম্পর্কে জানাতে গিয়ে কার্তিক মহারাজ বলেন, ‘‘আমরা রক্ষী দলে আইনজীবী, লেখকদেরও রাখব। কারণ, নির্যাতিত হিন্দুদের রক্ষার জন্য আইনি লড়াই এবং লেখালেখি করাও প্রয়োজন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘উৎসবে, পার্বণে মদ্যপানের প্রবণতা বাড়ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় আরও অনেক সমস্যা রয়েছে। এ সব থেকে সমাজকে রক্ষা করাই হবে রক্ষী বাহিনীর কাজ। যুব সমাজকে ধর্মীয় শিক্ষা, শরীর গঠনের পথে আনাও লক্ষ্য থাকবে।’’ ভারত সেবাশ্রমের পক্ষে আগামী দিনে জেলায় জেলায় এমন বাহিনী তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। অনেক জায়গায় সে কাজ শুরুও হয়েছে। কিন্তু সদস্য পাওয়ার জন্য সমাজমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়ার নজির আগে দেখা যায়নি। কার্তিক মহারাজের দাবি, বিজ্ঞাপনে দেওয়া ফোন নম্বরে অনেকেই যোগাযোগ করছেন। খুব তাড়াতাড়ি প্রথম দলটির প্রশিক্ষণ শুরু করা যাবে বলেও তিনি আশাবাদী।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)