গাজোলের আইসি চন্দ্রশেখর ঘোষালকে ক্লোজ় করেছেন জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার পুকুর দখলের অভিযোগকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গাজোল। অভিযোগ, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা তো দূর অস্ত, একেবারেই নিষ্ক্রিয় ছিলেন আইসি। তাঁর বিরুদ্ধে অতীতেও কর্তব্যে গাফিলতির একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। এর পরেই চন্দ্রশেখরকে ক্লোজ় করেন পুলিশ সুপার। চন্দ্রশেখরকে জেলা পুলিশের সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে। আর সদর দফতরের ইনস্পেক্টর দেবব্রত চক্রবর্তীকে আইসি করা হয়েছে গাজোল থানার।
সম্প্রতি নবান্নে পুলিশের নিচুতলার একাংশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ করেছিলেন, টাকার বিনিময়ে কয়লা এবং বালি পাচারের মতো অবৈধ কারবারে সাহায্য করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশের নিচুতলার একাংশ। তিনি বলেন, “সিআইএসএফের একাংশ বা পুলিশের একাংশ টাকা খেয়ে চুরি করবে— এটা আমি হতে দেব না।” মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ এবং এই মন্তব্যের পরেই পুলিশ এবং প্রশাসনিক মহলে তৎপরতা শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কয়েক জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়।
ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের দিনই অপেশাদার কাজ এবং কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে পশ্চিম বর্ধমানের বরাবনি থানার সাব ইনস্পেক্টর (এসআই) মনোরঞ্জন মণ্ডলকে সাসপেন্ড করেছিল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধরির স্বাক্ষর সম্বলিত একটি নথি আনন্দবাজার অনলাইনের হাতে এসেছিল। বরাবনি থানার এসআই-এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করার কথা বলা হয়েছিল তাতে। এ-ও বলা হয়েছিল, সাসপেনশনে থাকার সময় মূল বেতনের অর্ধেক পাবেন ওই পুলিশ আধিকারিক। এ বার শাস্তির মুখে পড়লেন মালদহের এক পুলিশ আধিকারিক।