• জেলায় ৮৫ জন পড়ুয়াকে ফের ট্যাবের টাকা
    বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, সিউড়ি: বীরভূম জেলায় ট্যাবের টাকা নিয়ে প্রতারণার শিকার হওয়া পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফের টাকা পাঠাল জেলা শিক্ষাদপ্তর। গোটা রাজ্যের মতো এই জেলাতেও বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া ট্যাব কেনার অনুদানের টাকা ঢোকেনি। ট্যাব দুর্নীতি নিয়ে গোটা রাজ্য তোলপাড় হওয়ার পর এই জেলাতেও প্রতারণার হদিশ পাওয়া যায়। 


    জেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাব প্রতারণা কাণ্ডে জেলার ১৭টি স্কুলের ৮৫ জন পড়ুয়া রাজ্য সরকারের অনুদান থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। সেই বিষয়টি তদন্তে উঠে আসার পর দ্রুত শিক্ষাদপ্তরের তরফে জেলা পুলিস ও প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপর জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ফের রাজ্য সরকারের এই অনুদান পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তবে কিছু বেশকিছু পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্যার জন্য তারা টাকা পায়নি। সেই বিষয়টি অবশ্য প্রতিবছরই অনুদান দেওয়ার সময় ঘটে। অর্থাৎ অনেক পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি দীর্ঘদিন লেনদেন না করার জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী কালে তাকে অ্যাকাউন্টটি ঠিক করতে বলার পর তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যায়। 


    শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম জেলায় গত আর্থিক বছরে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য ২৮ হাজার ১৮৯ জন ছাত্রছাত্রীকে দশ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছিল। তারপর চলতি বছরে একাদশ ও দ্বাদশ উভয় শ্রেণির পড়ুয়াদের এই অনুদান দেওয়া হয়। দুই শ্রেণি মিলে জেলার ২৪০টি স্কুলের ৪৯ হাজার ৬৮ জন পড়ুয়াকে এবছর ট্যাবের অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ শুধু বীরভূম জেলার পড়ুয়াদের জন্য প্রায় ৪৯ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার।  আর সেই অনুদান দিতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। বিষয়টি রাজ্য স্তরে জানাজানি হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে রাজ্য প্রশাসন। জেলা শিক্ষাদপ্তরের কাছে নির্দেশ আসে, বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। সেই তদন্তে নেমে দেখা যায়, এই জেলাতেও ৮৫ জন পড়ুয়া অনুদানের টাকা থেকে বঞ্চিত। পরে জেলাশাসকের নির্দেশে দ্রুত সেই টাকা দিয়ে দেওয়া হয় পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তবে এই বিষয়টি জেলা পুলিসকেও লিখিতভাবে জানিয়েছে শিক্ষাদপ্তর। এই পড়ুয়ারা কেন টাকা পেল না বা কোনও প্রতারকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা চলে গিয়েছে কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিস। 


    এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, জেলার ৮৫ জন পড়ুয়া ট্যাবের অনুদান থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর দ্রুত সেই সব পড়ুয়াদের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।  
  • Link to this news (বর্তমান)