• ২৪ ফুটের বিশাল দক্ষিণাকালী পুজোর প্রস্তুতি বুলেট সঙ্ঘের
    বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: প্রতিবারের মতো এবছরও রামপুরহাটের ঐতিহ্যবাহী বুলেট সঙ্ঘ বড় করে দক্ষিণাকালী পুজোর আয়োজন করেছে। এখানকার পুজোর প্রধান আকর্ষণ ২৪ ফুট উঁচু বিশাল কালীপ্রতিমা। চলতি বছরে এই পুজো ৩৩তম বর্ষে পা দিতে চলেছে। আগামী শনিবার বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় মণ্ডপের উদ্বোধন করবেন। সেখানে মহকুমা পুলিস ও প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। এবার পুজো ঘিরে সাতদিনের অনুষ্ঠান রয়েছে। জেলার পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড থেকেও ভক্তরা এই পুজোয় আসেন।


    ৩৩ বছর ধরে দক্ষিণাকালীর আরাধনা করে আসছে বুলেট সংঘ। জনশ্রুতি রয়েছে, এটি বীরভূমের অন্যতম জাগ্রত দক্ষিণাকালী পুজো। ক্লাবের সভাপতি তথা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অষ্টম মণ্ডল বলেন, রামপুরহাট শহরে আগে সর্বজনীন দক্ষিণাকালী পুজো তেমন হতো না। এলাকার মানুষকে দূর-দূরান্তে পুজো দিতে যেতে হতো। তাই আমরা ১৬ হাতের কালীপ্রতিমা গড়ে পুজো শুরু করি। এরপর যত দিন গিয়েছে, ততই এই পুজো প্রসিদ্ধ হয়েছে। দেবী এখানে ‘বড় কালী’ নামে পরিচিত। সেজন্য এই এলাকা বড়কালীতলা নামে পরিচিতি লাভ করেছে।


    কোনও কাঠামোর উপর এই প্রতিমা তৈরি করা হয় না। তাই দেবীপ্রতিমার নিরঞ্জনও দর্শনীয়। দমকলকর্মীরা অনেকক্ষণ ধরে জল ছিটিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। যা দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন।


    পুজো শুরুর পর থেকে ধীরে ধীরে প্রতিমার উচ্চতা বাড়ানো হয়েছে। এবার ২৪ফুট উঁচু বিশাল প্রতিমা গড়া হচ্ছে। পুজো একদিনের হলেও প্রতিমা সাতদিন থাকে। নানা রঙের আলোকসজ্জায় পুরো এলাকা সাজিয়ে তোলা হবে। এবার মেলাও অন্য বছরের তুলনায় কিছুটা বড় আকারে করা হচ্ছে। পুলিস ও প্রশাসন সুষ্ঠুভাবে পুজো আয়োজনে সহযোগিতা করে বলে ক্লাবের কর্মকর্তারা জানান।


    বংশপরম্পরায় এই প্রতিমা তৈরি করেন রূপশংকর চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পাঁচজন কারিগর নিয়ে এই বিশাল প্রতিমা তৈরি করছি। সময় কম থাকায় রাত জেগেই কাজ করতে হচ্ছে।


    পুজোর প্রথমদিন দুঃস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিলি করা হয়। পরের ছয়দিন বাউলগান, অঙ্কন প্রতিযোগিতা, স্থানীয় ও বহিরাগত শিল্পীদের নিয়ে বিচিত্রানুষ্ঠান হয়। প্রায় পাঁচহাজার মানুষকে পাত পেড়ে অন্নভোগ খাওয়ানো হবে।


    পুজো কমিটির সম্পাদক মুরালী গুপ্তা, সদস্য সুজয় দে, নিমাই পাল, স্বপন দাস, বিষ্ণু মণ্ডল, পলাশ দাসরা জানান, এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় এই পুজো হয়ে আসছে। এবার বাজেট প্রায় সাত লক্ষ টাকা। বড়কালী সবার মনস্কামনা পূরণ করেন। দিনদিন এখানে ভক্তসমাগম বেড়ে চলেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)