• দুই পঞ্চায়েতের টানাপোড়েনে হয়নি সেতু, নদী পেরিয়ে স্কুলে যায় পড়ুয়ারা
    বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: দুই পঞ্চায়েতের টানাপোড়েন। তারই জেরে আজও পাঙ্গা নদীর উপর সেতু হয়নি। ফলে নদীর জল ডিঙিয়ে স্কুলে যেতে হয় পড়ুয়াদের। এনিয়ে উদ্বেগে থাকেন অভিভাবকরা। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অরবিন্দ ও বাহাদুর পঞ্চায়েতের সংযোগস্থলে পাঙ্গা নদীর উপর বাসিন্দাদের সেতুর দাবি অনেকদিনের। কিন্তু তা না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাঁদের। নদীর একপাড়ে বাহাদুর পঞ্চায়েত। অন্যপাড়ে অরবিন্দ পঞ্চায়েত। অভিযোগ, সেতু না থাকায় অরবিন্দ পঞ্চায়েতের বৈরাগীডাঙা, আনন্দনগর, পরেশনগর সহ অন্তত সাতটি গ্রামের বাসিন্দাদের ভোগান্তির শেষ নেই। ওইসব গ্রামের ছেলেমেয়েরা বেশিরভাগই পড়াশোনা করে  বাহাদুর পঞ্চায়েতের সাহেবাড়িতে মুন্নাস হ্যাপি হোম স্কুলে। নদী পেরিয়েই স্কুলে যাওয়া-আসা করে তারা। না হলে অন্তত চার কিমি ঘুরে আসতে হয় ওই স্কুলে কিংবা সাহেববাড়ি বাজারে। বৈরাগীডাঙা গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাত-বিরেতে কেউ অসুস্থ হলে দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। ঘুরপথে যাতায়াত করতে গিয়ে অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যায়। এলাকার মানুষের বক্তব্য, সেতুর জন্য তাঁরা বহুবার পঞ্চায়েতে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু আজও হয়নি।


    বাহাদুর পঞ্চায়েতের প্রধান অমিত দাস বলেন, নদীর এপার আমার পঞ্চায়েত এলাকায়। ওপার অরবিন্দ পঞ্চায়েতের অধীনে। ওপার থেকেই এপারে লোকজন আসে। পঞ্চায়েতের মানুষজন সেতুর ব্যাপারে আমাকে কখনও কিছু বলেননি। তবে সেতু হলে ভালোই হয়। কিন্তু পঞ্চায়েতের অর্থে তা সম্ভব নয়।


    অন্যদিকে, অরবিন্দ পঞ্চায়েতের প্রধান রাজেশ মণ্ডলের বক্তব্য, দু’টি সেতুর জন্য প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছিল। একটি বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। আশাকরি, পাঙ্গা নদীর উপরও সেতুর অনুমোদন মিলবে। তাঁর দাবি, বিষয়টি শুধু আমার পঞ্চায়েতের নয়, পাশের পঞ্চায়েতও যুক্ত। তবে, ওই এলাকার বাসিন্দাদের নদী পারাপারের জন্য সাঁকো বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বর্ষায় তা ভেসে গিয়েছে। আবারও বানিয়ে দেওয়া হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)