• দীর্ঘদিন অনুপস্থিত, সিনিয়র ডাক্তারের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিলেন প্রিন্সিপাল
    বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্রনারায়ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চক্ষু বিভাগের এক অধ্যাপক চিকিৎসকের বেতন সাময়িকভাবে বন্ধ করা হল। ওই চিকিৎসক প্রায় পাঁচ মাস ধরে অনুপস্থিত হাসপাতালে। এর ফলে মেডিক্যাল কলেজের চক্ষু বিভাগে আসা রোগীরা যেমন সমস্যায় পড়ছেন, তেমনই পঠনপাঠনের ক্ষেত্রেও ব্যাঘাত ঘটছে। 


    এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বারবার ওই অধ্যাপক চিকিৎসককে চিঠি করেও তাঁকে কাজে যোগ দেওয়াতে পারেনি। মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হলেও সেখানেও তিনি শামিল হননি। এই পরিস্থিতিতে এমজেএন মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ নির্মলকুমার মণ্ডল চিঠি দিয়ে ওই অধ্যাপক চিকিৎসকের বেতন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। 


    যদিও এ বিষয়ে জানতে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। মেসেজ করলেও জবাব আসেনি। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, চক্ষু বিভাগের ওই চিকিৎসক অধ্যাপক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস আগে ছুটি নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর তিনি এখানে আর কাজে যোগ দেননি। এতেই জটিলতা তৈরি হয়েছে। রোগীদের পাশাপাশি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারাও ভুগছেন। 


    মহারাজা জিতেন্দ্রনারায়ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডাঃ নির্মলকুমার মণ্ডল বলেন, চক্ষু বিভাগের অধ্যাপক চিকিৎসক অসুস্থতার কারণে ছুটি নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর তিনি আর কাজে যোগ দেননি। মেডিক্যাল বোর্ড বসানো হয়েছিল। তিনি সেই বোর্ডের মুখোমুখি হননি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের থেকেও কোনও নির্দেশিকা আসেনি। রোগী ও পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়ছেন। তাই আমরা ওই চিকিৎসকের বেতন সাময়িকভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি। 


    এমজেএন মেডিক্যালের সুপার ডাঃ সৌরদীপ রায় বলেন, এই হাসপাতালে প্রতিদিন কয়েক হাজার রোগী চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসেন। চক্ষু বিভাগে কয়েকশো রোগী আসেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগে তিনজন চিকিৎসকের মধ্যে একজন চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত। অসুস্থতার কারণে ছুটি নিলেও তিনি মেডিক্যাল বোর্ডে পরবর্তীতে শামিল হননি। সেই সব কারণেই প্রিন্সিপাল ওই চিকিৎসকের সাময়িক বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।


    কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে এমনিতেই চিকিৎসক কম। চক্ষু বিভাগেও একই অবস্থা। চিকিৎসকের অভাবে ওই বিভাগে সপ্তাহে তিনদিন রোগী দেখা হয়। এদিকে, মেডিক্যাল কলেজে কয়েকশো পড়ুয়া রয়েছেন। সেখানেও অধ্যাপক চিকিৎসক না থাকাতে সমস্যা হচ্ছে। সামনে পরীক্ষা রয়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করায় কর্তৃপক্ষ ওই চিকিৎসকের বেতন সাময়িকভাবে স্থগিত করে দিল।


    (এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ। - নিজস্ব চিত্র।)
  • Link to this news (বর্তমান)