সংবাদদাতা, চাঁচল: বুধবার ভোরে ফের অগ্নিকাণ্ড চাঁচলে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এলাকায় তিনটি আগুন লাগার ঘটনা ঘটল। শীত পড়তেই অগ্নিকাণ্ড বেড়ে চলায় উদ্বেগ বাড়ছে দমকল বিভাগে। শীতে উষ্ণতার খোঁজে আগুন ব্যবহারের সময় হালকা বাতাস বয়। ফলে শীতে অগ্নিকাণ্ড বেশি ঘটে বলে দমকল জানিয়েছে। দমকল সূত্রে খবর, গতবছর শীতে চাঁচলে ৫০ টির মতো অগ্নিকাণ্ড ঘটে। প্রতিমাসে দু’একটি ঘটনা ঘটেই থাকে। এবং অধিকাংশই গ্রামাঞ্চলে। গতবছরের তুলনায় এবছর যাতে অগ্নিকাণ্ড কম হয়, সেজন্য মানুষকে সচেতন করছে চাঁচল দমকল বিভাগ। আগুন থেকে সচেতন থাকতে বিভিন্ন মেলা, বাজার, স্কুল ও জনবহুল এলাকায় শিবির করে থাকেন দমকলকর্মীরা। চাঁচল দমকল বিভাগের ইনচার্জ রতনকুমার সিংহ বলেন, শীতে গ্রামাঞ্চলে আগুন পোহানোর চল রয়েছে। তা থেকেই বেশি অগ্নিকাণ্ড। গোয়াল থেকেও আগুন লাগে। গো-পালকরা গোয়ালের মশা তাড়াতে ধোঁয়া দেওয়ার জন্য উপকরণ ব্যবহার করেন। তা না করে মশারির ব্যবহার করা উচিত। বুধবার কনুয়ার বদিরুদ্দিন ও তাঁর ছেলে নুর আলমের তিনটি শোওয়ার ঘর এক নিমেষে পুড়ে যায়। ঘরে মজুত ধান, চাল ও আসবাবপত্র পুড়ে নষ্ট হয়। স্থানীয়রা জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে চাঁচল থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শর্টশার্কিট থেকে আগুন ছড়িয়েছে বলে দমকলকর্মীদের প্রাথমিক অনুমান। শীতকালে আশ্রয় খুইয়ে দিশেহারা ক্ষতিগ্রস্ত বদিরুদ্দিন ও তাঁর ছেলে নুর আলম। তাঁদের দাবি, এখন কোথায় থাকব? সরকার আমাদের সাহায্য করুক। চাঁচল ১ এর বিডিও থিনলে ফুন্টসক ভুটিয়া বলেন, আবেদন পেলে দুর্গতদের ত্রাণ দেওয়া হবে।