ভাঙনের আতঙ্ক কাটছে না, শীতের রাতে বাঁধে ঠাঁই কাঞ্চনদের
বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, মানিকচক: মানিকচক ঘাটে গঙ্গা ভাঙনের এক সপ্তাহ পরেও ঘোর আতঙ্কে নদী তীরবর্তী প্রায় দু’শো পরিবার। কনকনে শীতের মধ্যে বাঁধের উপর এখনও ত্রিপলের নীচে রাত কাটছে অনেকের। প্রশাসনের কাছে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন দুর্গতরা। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র।
ওই পরিবারগুলি গঙ্গার গা ঘেঁষে বাস করত। এদের মধ্যে বেশিরভাগ নারায়ণপুর চরে ভাঙনের হাত থেকে বাঁচতে বাঁধে এসে ঠাঁই নিয়েছে। ব্লক প্রশাসন ও বিধায়কের উদ্যোগে তাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল। এখন মাছ ধরা এবং দিনমজুরি করে সংসার চলছে পরিবারগুলির। গত মঙ্গলবার মানিকচক ঘাটে হঠাৎ ভাঙনে বিস্তীর্ণ এলাকার দোকান, বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে যায়। তখন থেকেই আতঙ্কে ভুগছেন লীলাবতী, কাঞ্চন ও হরেরাম চৌধুরীরা। লীলাবতীর কথায়, জল কম থাকা সত্ত্বেও যেভাবে হঠাৎ ভাঙনে বিস্তীর্ণ অংশ তলিয়ে গিয়েছে, আমরা খুব ভয়ে আছি। দিনে বাড়িতে থাকলেও প্রাণের ভয়ে রাতে থাকার সাহস হচ্ছে না। তাই রাতে সরকারের দেওয়া ত্রিপল টাঙিয়ে বাঁধের উপর শিশুদের নিয়ে কাটাচ্ছি। একই অবস্থা কাঞ্চন চৌধুরীর। তিনি বললেন, এভাবে ভাঙন চলতে থাকলে আমরা যাব কোথায়? মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র ও ব্লক প্রশাসন দুর্গতদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তাঁরা কিছু না করলে নদীতে ডুবে মরতে হবে আমাদের।
সাবিত্রী বলেন, পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে মালদহের জেলাশাসক এবং কিছুদিন আগে সেচমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা পাশে রয়েছি। গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ আমাদের প্রথম কাজ। কিন্তু কেন্দ্র ভাঙন রোধে কোনও সাহায্য করছে না বলে সমস্যা বাড়ছে। - নিজস্ব চিত্র