• কিষানমাণ্ডিতে ত্রিশের বদলে দশ কুইন্টাল ধান কেনার অভিযোগ
    বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: ৩০ কুইন্টালের পরিবর্তে কৃষকদের কাছে ১০ মাত্র কুইন্টাল করে ধান কেনা হচ্ছে ক্রয়কেন্দ্রে। এমন অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সতর্ক করলেন বংশীহারি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।


    বংশীহারি ব্লকের বুনিয়াদপুর কিষানমাণ্ডি, এলাহাবাদ ও দৌলতপুর এলাকায় সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করেছে খাদ্য দপ্তর। অভিযোগ, বুনিয়াদপুর কিষানমান্ডিতে একজন কৃষকের কাছে সর্বাধিক ১৫ কুইন্টাল ধান কিনছে খাদ্য দপ্তর। বংশীহারি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গণেশ প্রসাদকে সেই অভিযোগ করেন ব্লকের কৃষকেরা। একজন কৃষক জমির অনুপাতে ৩০ কুইন্টাল পর্যন্ত ধান বিক্রি করতে পারেন। সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পেতেই পঞ্চায়েত সমিতি অফিস থেকে সোজা বুনিয়াদপুর কিষানমাণ্ডিতে গিয়ে খাদ্য দপ্তরের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে গণেশ। তিনি ধানক্রয়ের রেজিস্টার দেখে বুঝতে পারেন কৃষকদের অভিযোগই সত্যি। তখন ৩০ কুইন্টাল করে ধান নেওয়া হবে বলে জানান খাদ্য দপ্তরের পারচেজ অফিসার।


    কৃষক হাবিব মহম্মদ বলেন, আমার পাঁচ বিঘা জমি, কৃষকবন্ধু কার্ড থাকা সত্ত্বেও ১৫ কুইন্টাল ধান নিয়েছে। খাদ্য দপ্তরের কথা অনুযায়ী ধান নিয়ে এসেও পুরো বিক্রি করতে পারিনি।


    এদিকে মঙ্গল ও বুধবার পুরনো উপভোক্তারা ধান বিক্রির জন্য নথি আপডেট করতে পারছেন না সার্ভারের সমস্যার কারণে। এতে তাঁরা স্লট বুকিং করতে পারছেন না। গণেশ বলেন, জমির পরিমাণ অনুযায়ী, সর্বাধিক ৩০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারবেন কৃষকরা। কিন্তু আমার এলাকায় ১০ কুইন্টাল  ধান কেনা হচ্ছিল। এমনটা যাতে না হয় সাবধান করেছি।


    জেলা খাদ্য দপ্তরের নিয়ামক ফুরভা ভুটিয়া বলেন, যাদের কৃষকবন্ধু রয়েছে, তাঁরা ৩০ কুইন্টাল ও যাদের নেই তাঁরা জমির পরিমাণ অনুযায়ী ২০ কুইন্টাল  ধান বিক্রি করতে পারবেন। বংশীহারিতে কৃষকদের ধান না শুকনোয় ৩০ কুইন্টাল আনতে পারেননি। ১০ থেকে ১৫ কুইন্টাল কেনা হয়েছে। পরে পুরো ধান নেওয়া হবে। দ্রুত সার্ভারের সমস্যার সমাধান করা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)