জমি দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের বিবাদ, ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা
বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ ও সংবাদদাতা মানিকচক: জমির দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষে উত্তপ্ত মালদহের রতুয়া থানা এলাকার কমলপুর গ্রাম। সংঘর্ষের ফলে আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের প্রায় পাঁচ সদস্য। জমির দখল নিতে বাঁশ, লাঠি ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় টহলদারি চলছে পুলিসের।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রতুয়া থানার কমলপুর গ্রামে প্রায় ৩২ শতক একটি জমি আছে। ওই জমি ঘিরে রাজকুমার মহালদার ও উত্তম মহালদার ওরফে সুজিতের পরিবারের দীর্ঘদিন বিবাদ চলছিল। মাঝেমধ্যেই তাদের মধ্যে ঝামেলা হতো বলে জানিয়েছেন একাংশ বাসিন্দা। মঙ্গলবার বিকেলে সেই জমিতে রাজকুমারের দেওয়া জমির আল উত্তমের পরিবার ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় তাঁদের বাধা দিতে গেলে রাজকুমারের পরিবারের ওপর হামলা করা হয় বলে দাবি।
রাজকুমারের অভিযোগ, লাঠি, বাঁশ সহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। এমনকী বাড়ির একাংশে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে এই জমি দখলের চেষ্টা করছে ওরা।
এই ঘটনায় রাজকুমার সহ তিনজন গুরুতর আহত হয়ে রতুয়া গ্রামে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন উত্তম। তাঁর কথায়, এটা আমাদের পৈতৃক জমি। আমাদের ভাগ থাকলেও সেই জমিতে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা সেখানে বাঁশের বেড়া দিতে গেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা এবং মারধরের যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।
যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে (সত্যতা যাচাই করেনি বর্তমান) স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে উভয়পক্ষই একে অপরের ওপর বাঁশ, লাঠি নিয়ে চড়াও হচ্ছে। আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে একটা জমির মধ্যে থাকা বাঁশের বেড়া। সংঘর্ষের ঘটনার আরও কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যায় রতুয়া থানার পুলিস। তাদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও বুধবার সারাদিন থমথমে ছিল গোটা এলাকা।
আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। বুধবার সকালে তাঁদের সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জমি দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করে দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে রতুয়া থানায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।