নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: এটিএমের ভল্ট ভেঙে সাধারণত টাকা চুরির চেষ্টা হয়। কিন্তু নিউ বারাকপুরে দুষ্কৃতীরা একেবারে ভল্টশুদ্ধ লুট করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। ওই কাজ করতে আনা হয়েছিল গ্যাস কাটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ অন্যান্য সরঞ্জাম। কিন্তু অ্যালার্ম সিস্টেমে বিপদ সংকেত পেয়ে পুলিসকে ফোন করেন ব্যাঙ্কের নিরাপত্তা আধিকারিকরা। পুলিস হানা দিয়ে ওই এটিএম থেকে রাজস্থানের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। নিউ বারাকপুর থানা এলাকার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম আসলাম খান। তার বাড়ি রাজস্থান। ধৃতকে এদিন বারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিস জানিয়েছে, পলাতক অপর দুই দুষ্কৃতীর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ বারাকপুরের বোর্ডঘর এলাকায় লোকনাথ মন্দিরের পাশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম রয়েছে। ওই এলাকা আবার ঘোলা থানার সীমান্ত লাগোয়া এলাকা। মঙ্গলবার রাতে আচমকাই ব্যাঙ্কের নিরাপত্তা আধিকারিকরা ওই এটিএম থেকে অ্যালার্ম পান। সমস্যা বুঝে তাঁরা দ্রুত নিউ বারাকপুর থানায় বিষয়টা জানান। কিন্তু ওই জায়গায় পৌঁছতে কিছুটা সময় লাগতে পারে বুঝেই ঘোলা থানায় খবর দেওয়া হয়। দ্রুত ঘোলা থানার টহলদারি ভ্যান এটিএমে পৌঁছে আসলাম খান নামের ওই যুবককে পাকড়াও করে। কিন্তু চার চাকা গাড়িতে থাকা অপর দুই যুবক বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে চম্পট দেয়। ধৃতের কাছ থেকে পুলিস অক্সিজেন সিলিন্ডার, এলপিজি সিলিন্ডার ও গ্যাস কাটার উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জেনেছে, গ্যাস কাটার দিয়ে এটিএমের ভল্ট কেটে বের করে সেটা নিয়ে পালানোর ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। ধৃতের বাড়ি রাজস্থান হলেও সে এখানে বাড়ি ভাড়া করে ছিল। ধৃত যুবক রাজস্থানেও এটিএমের ভল্ট লুটের সঙ্গে যুক্ত। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত যুবক প্রাথমিকভাবে পুলিসকে বিভ্রান্ত করতে অসংলগ্ন উত্তর দিচ্ছে। তাকে জেরা করে চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজ করা হচ্ছে। ধৃতরা কোন জায়গায়, কার আশ্রয়ে ছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।