• ‘বিজেমূল’ শব্দে বিশ্বাসী নয় লিবারেশন, গেরুয়া শিবিরই মূল শত্রু, বার্তা দীপঙ্করের
    বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট বেঁধে নৈহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিআই (এমএল) লিবারেশন। কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে কমে গিয়েছে তাদের ভোট শতাংশ। জামানতও বাঁচানো যায়নি। যদিও সেসব নিয়ে ভাবতে চান না লিবারেশন সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টচার্য। বুধবার রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, মূল শত্রু বিজেপি। আর বিজেপিকে আটকানোর জন্য বামপন্থার পুনঃজাগরণ জরুরি। তাহলে তৃণমূল? তাঁর কথায়, তৃণমূলের অপশাসন, দুর্নীতি বাড়ছে। রাজ্যের নিরিখে বিরোধিতা থাকবে। কিন্তু দু’টো দলকে কখনোই একভাবে দেখতে চান না তিনি।


    একসময় সিপিএম ‘বিজেমূল’ শব্দের উত্পত্তি ঘটিয়েছিল। দীপঙ্কর বলছেন, এই ভোটে তো ওই শব্দ শুনিনি। কিন্তু আমি দুটো দলকে একভাবে দেখতে চাই না। এই পরিস্থিতিতে সারা দেশের স্লোগান—‘নো ভোট টু বিজেপি’। ঝাড়খণ্ডে দুটি কেন্দ্রে লিবারেশন জিতেছে। সেখানে বিজেপি সরকারে আসতে পারেনি। আজ, বৃহস্পতিবার নতুন সরকারের শপথ গ্রহণে দীপঙ্কর উপস্থিত থাকবেন। থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই প্রথম লিবারেশন ও বামফ্রন্ট জোট বেঁধে বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করল। ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরের আলোচনায় কি তার প্রভাব পড়বে? দীপঙ্কর বলছেন, ‘এটা তো শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান!’ নৈহাটি প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘আমার মনে হয়, এখন জামানত বাঁচানোর লড়াই না করে, বামপন্থীদের আরও বেশি করে রাস্তায় নেমে লড়াই-সংগ্রামের মধ্যে থাকতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজ্যের ৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত বামপ্রার্থীদের। এটাই বাস্তবতা। তবে বিজেপির ভোট শতাংশ কমেছে। আবার সাধারণ প্রান্তিক স্তরে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে বামপন্থীদের।’


    রাজনৈতিক সূত্রের খবর, লিবারেশনের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্মেলনগুলিতে। এর মাঝে দীপঙ্কর জানালেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জোটের প্রশ্নে তাঁদের দরজা খোলা।  


     
  • Link to this news (বর্তমান)