বিজেপি রাজি না থাকলে শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কদের দিল্লি পাঠান: অধ্যক্ষ
বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রতি বছর ভাঙন গিলে নিচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা জলে ফি বছর ভাসছে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। তবুও ভারত-ভুটান নদী কমিশন গঠনের বিষয়ে উদাসীন কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, রাজ্যে বন্যা রোধের কাজ করার জন্য অনেক বছর একটি টাকাও দেয়নি কেন্দ্র। বিষয়গুলির সুরাহা চাইতে রাজ্য থেকে একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের দিল্লি যাওয়ার প্রস্তাব পাস হয়েছিল বিধানসভায়। প্রস্তাবটি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তারপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ সময়। রাজ্যের শাসক দলের দাবি, তারা তৈরি থাকলেও মোদি সরকারের কাছে রাজ্যের দাবিদাওয়া উত্থাপনের ব্যাপারে বিজেপির কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এই প্রেক্ষিতে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলুন। ওঁরা যদি যেতে চান, ভালো। আর যদি না যেতে চান, তাহলে শুধু শাসক দলের বিধায়কদের নিয়ে গঠিত প্রতিনিধি দলকেই দিল্লি পাঠান।’ বুধবার রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের এ সংক্রান্ত বঞ্চনা নিয়ে বিধানসভার অধিবেশনে সরব হন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। সেই সূত্রেই আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল দিল্লিতে প্রতিনিধি দল পাঠানোর বিষয়টি উত্থাপন করেন। এই প্রেক্ষাপটে পরিষদীয় মন্ত্রীকে ওই নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ।
শোভনদেববাবু বলেন, ‘আমি বিজেপির বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলব। তাঁদের অবস্থান জেনে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’ প্রসঙ্গত, ২৬ এবং ২৯ জুলাই নদী ভাঙনের বিষয়ে বিধানসভায় প্রস্তাব গৃহীত হয়। এদিন বিধানসভায় মানসবাবু আরও বলেন, ‘রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের এই উদাসীনতা নিন্দনীয়। তার মধ্যেও রাজ্যের নিজস্ব খরচে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ হচ্ছে। একইভাবে মেদিনীপুরের জন্যও একাধিক প্রকল্পের কাজ করা হবে।’