সম্প্রসারিত কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষের পথে, ক্রসিংয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনা
বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: সম্প্রসারিত ছ’লেনের কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ পর্যায়ে। গ্রিল রং করা হচ্ছে, বসানো হচ্ছে বাতিস্তম্ভ। শুধু সোদপুরের মুড়াগাছা মোড় উড়ালপুলের কাজ এখনও বাকি। সেখানে জলের লাইন সরাতে কিছুটা সময় লেগেছে। যদিও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হল না। তবে মার্চ মাসের মধ্যেই পুরোদমে চালু হয়ে যাবে সোদপুর থেকে কাঁপা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার রাস্তা। এর আগেই অবশ্য বেশ কিছু এলাকায় দুর্ঘটনা বাড়ছে।
হাইওয়ে ঘুরে দেখা গেল কাঁপা, সাহেব কলোনির মোড়, পানপুর, ওয়্যারলেস মোড়, দোপেড়িয়া মোড়ের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিংয়ে গাড়ির টার্ন নেওয়ার ‘সংকেত’ ঠিকমতো বোঝা না যাওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এক মাসে প্রায় ১০ জন বাইক ও সাইকেল আরোহীর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, মসৃণ কল্যাণী হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর গতি খুবই বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু হাইওয়ে থেকে খড়দহ স্টেশনের দিকে, বা বারাকপুর স্টেশনের দিকে এমনকী নৈহাটি বা কাঁকিনাড়া স্টেশনের দিকে যাওয়ার জন্য ‘টার্নিং’ গাড়ি চালকরা বুঝতে পারছেন না। কারণ প্রতিটি সংযোগকারী রাস্তায় উড়ালপুল তৈরি হয়েছে। উড়ালপুলের নীচে সাবওয়ে দিয়ে স্টেশনের দিকে যেতে হয়। সেখানে ‘সংকেত’ ঠিকমতো না থাকার জন্য বাইক আরোহীরা এসে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল করতেই দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।
এটি ননস্টপ এক্সপ্রেসওয়ে, তাই প্রতিটি ক্রসিংয়ে উড়ালপুল করা হয়েছে। যার সংখ্যা ১৮। সাবওয়ে করা হয়েছে ৬০টি। শুধু সাধারণ মানুষের রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে অনেকটা ঘুরতে হচ্ছে। পরে নির্মাণকারী সংস্থা একটি ক্রসিং করে দিয়েছে। বর্তমানে সেখানে সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সিভিক ভলান্টিয়াররা জানালেন, যেভাবে ক্রসিং করা হয়েছে, তাতে যেকোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পাশের চায়ের দোকানদার বললেন, অবিলম্বে সিগন্যালিং পোস্ট বসানো দরকার। প্রতিটি গাড়ি এত দ্রুত গতিতে আসছে, প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
এ ব্যাপারে পুলিস কমিশনার অলক রাজোরিয়া বলেন, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে ট্রাফিক পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এটা ঠিক, সাইনেজ ঠিকমতো দেওয়া হয়নি। তার জন্য অনেকের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। খুব শীঘ্রই হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের সঙ্গে আলোচনায় বসব। অবশ্য হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ননস্টপ এক্সপ্রেসওয়েতে সিগন্যালিং পোস্ট থাকার থাকার কথা নয়। প্রত্যেকটা জায়গায় উড়ালপুলের আগে বোর্ড লাগানো হয়েছে। অসুবিধা হলে খতিয়ে দেখা হবে।-নিজস্ব চিত্র