এসব রোজ হয়। রাস্তাঘাটে টিটকিরি উড়ে আসে। অনেক হিন্দি সিনেমার কমেডি সিনে বিস্তর ঠাট্টা-তামাশা ফুটে ওঠে। তবে ভুঁড়ি কমাতে কিছু উদ্যোগ কিছু জায়গায় নেওয়া হয়েছে বলে কানে খবরও আসে। এবার বনগাঁ পুলিস জেলা সেরকমই একটি উদ্যোগ নিল। পুলিসের চাবুকের মত চেহারা করতে পদক্ষেপ নিল জেলা পুলিস। আইনরক্ষকদের আরও বেশি দক্ষ করে তুলতে নিয়মিত শরীরচর্চার উপর জোর দিয়েছে পুলিসের উঁচুতলা। কর্মীদের ভুঁড়ি কমাতে গাড়ি ছেড়ে পায়ে হাঁটতে ও সাইকেল চালাতে বলা হয়েছে। ভুঁড়ি কমাতে হাতে দেওয়া হয়েছে স্মার্ট ওয়াচ। ঘড়ি ধরে হাঁটতে হবে ভুঁড়িসমৃদ্ধদের। সে হাঁটা কেমন হাঁটা-দিনের শেষে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে, ‘কত পা হেঁটেছেন তিনি প্রতিদিন।’
সম্প্রতি বনগাঁ পুলিস জেলায় কর্মীদের শরীরের পরিমাপ হয়েছে। তারপর দেখা গিয়েছে, প্রায় শতাধিক কর্মীর ওজন দৈর্ঘ-প্রস্থে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বডি মাস ইনডেক্সে সমস্যা রয়েছে। সেই আধিকারিক ও কর্মীদের সক্ষমতা বাড়াতে, চাবুকের মতো চেহারা করে তুলতে, গাইড লাইন চালু হয়েছে। শুরু হয়েছে বিনামূল্যে মেডিক্যাল চেক আপ। খাবারদাবারে রাশ টানতে হয়েছে ডায়েট চার্ট। জোর খেলাধুলোর উপরও।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে সর্বক্ষণ ব্যস্ত থাকতে হয় পুলিসকে। এখন হাজার কাজের মাঝেও সময় বের করে সকাল হলেই মাঠে যাচ্ছেন বনগাঁর পুলিসকর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণ শরীরচর্চা করছেন। অনেককে দেওয়া হয়েছে স্মার্ট ওয়াচ। তাঁরা ঘড়ি দেখে কসরত করছেন। জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ১০ হাজার পা হাঁটতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্মার্ট ওয়াচে কাউন্ট করে দিনের শেষে দপ্তরে রিপোর্ট দিতেও বলা হয়েছে। বনগাঁ পুলিস জেলার সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘পুলিস আধিকারিকদের আরও দক্ষ করে তুলতে শরীরচর্চার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। যাঁদের বিএমআই বেশি তাঁদের ঘড়ি ধরে হাঁটতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে পুলিসের কর্মদক্ষতা বাড়বে।’ অন্যদিকে জানা গিয়েছে, শারীরিক সক্ষমতার নিরিখে কর্মীদের পুরস্কৃত করবে জেলা পুলিস।