• মহেশতলা: তিনদিন কেটে গেলেও ব্যাঙ্কে চুরির তদন্তে অন্ধকারে পুলিস
    বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বজবজ: মহেশতলার বাটা মোড়ে এসবিআইয়ের একটি শাখায় চুরির ঘটনায় পুলিস এখনও অন্ধকারে। সোমবার চুরির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তিনদিন কেটে গেলেও পুলিস তদন্তে নেমে কোনও সূত্র খুঁজে পায়নি। ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলার এক দুঁদে অফিসারের কথায়, ঠান্ডা মাথায় প্রতিটি পদক্ষেপ মেপে চুরি করেছে দুষ্কৃতীরা। যাতে অপরাধীদের নাগাল পেতে না পারে পুলিস। এর আগে সোনার দোকানে ডাকাতি থেকে শুরু করে বড়সড় একাধিক অপরাধের কিনারা করতে পারলেও এই ঘটনায় পুলিস এখনও ব্যাকফুটে।


    কিন্তু কেন? ওই অফিসারের দাবি, দুষ্কৃতীরা অপরাধস্থলে কোনও না কোনও সূত্র রেখে যায়। এক্ষেত্রে শাটার, তালা, ভল্ট কিছুই ভাঙা হয়নি। ফলে আঙুলের ছাপও পাওয়া যাচ্ছে না। নকল চাবি দিয়ে সবকটি প্রকোষ্ঠ খোলা হয়েছে। তাঁর মতে, শনি ও রবিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। দুষ্কৃতীরা একদিনে নয়, সম্ভবত দু’দিন ধরেই অপারেশন চালিয়েছে। বিষয়টি সামনে এসেছে সোমবার। দুষ্কৃতীরা এতটাই চালাক যে, তারা কোনও প্রমাণ রেখে যায়নি। তারা সিসি ক্যামেরার রেকর্ড সহ পুরো ছবির ভাণ্ডার লোপাট করে দিয়েছে। যে কারণে কোনও ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই অন্য পথে পুলিসকে মগজাস্ত্র খাটাতে হচেছ।


    ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলার এক কর্তার কথায়, ব্যাঙ্কের ওই শাখায় প্রতিদিন গড়ে কত টাকা লেনদেন হয়, কত অ্যাকাউন্ট রয়েছে, কত টাকা ভল্টে থাকে ইত্যাদি তথ্য খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। এখান থেকেই নতুন সূত্র খোঁজার চেষ্টা চলছে। তবে অফিসাররা তদন্তে নেমে ব্যাঙ্কের তরফে বেশ কিছু গাফিলতি খুঁজে পেয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম হল বিমা। ব্যাঙ্কের টাকা, গচ্ছিত সোনা সহ যাবতীয় জিনিস বিমা করা আছে। তাই সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্টে টাকা ও ভল্টে সোনা থাকলেও নিরাপত্তার প্রশ্নে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ মোটেও যত্নশীল ছিল না।
  • Link to this news (বর্তমান)