• দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে বাটার শিব মন্দির, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা
    বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বজবজ: মহেশতলা পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গা লাগোয়া শতাধিক বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বাটা শিব মন্দির দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। ফলে সন্ধ্যার পর অন্ধকারে ডুবে থাকছে মন্দিরটি। সূর্য ডোবার পর এলাকার বাসিন্দা বা পর্যটকরা ওই মন্দিরে যেতে সাহস করছেন না। এদিকে এই মন্দিরের সঙ্গে অনেক মানুষের বিশ্বাস ও আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। তাঁরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। যেমন অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়, ধূর্জটিপ্রসাদ রায় এবং নিতাই বসাক। তাঁদের কথায়, খুবই জাগ্রত ওই মন্দিরের শিব। বাটা কোম্পানি তৈরির সময় এটা করা হয়েছিল। এক সময় এই মন্দিরের চারপাশ ঘিরে অনেকটা জায়গা ছিল। মন্দিরে নিত্যপুজো এবং দেখভালের জন্য আলাদা লোক ছিল। পাশেই তাঁদের থাকার জন্য ঘর করে দিয়েছিল বাটা কোম্পানি। পাঁচ থেকে ছ’হাজার ভক্ত প্রতি বছর নীলপুজো থেকে শুরু করে শিবরাত্রিতে এখানে জমায়েত হন। এছাড়া প্রতি সোমবারও ভিড় হয়। বাম আমলে এই শিব মন্দিরের জায়গা সহ বাটা-র প্রচুর জমি চলে যায় প্রোমোটারদের হাতে। ফলে মন্দিরের জায়গাও ছোট হয়ে যায়। গত আড়াই মাস ধরে সন্ধ্যার পর মন্দিরটি অন্ধকারে ডুবে থাকছে। ফলে আমাদের মতো অনেকেই মন্দিরে যেতে পারছে না। ডায়মন্ডহারবারের বিজেপির যুবনেতা পিন্টু ভট্টাচার্য একই অভিযোগ করেছেন। তাঁর কথায়, প্রাচীন এই মন্দিরকে অন্ধকারে রেখে তা তুলে দেওয়ার কোনও চক্রান্ত হচ্ছে না তো? বাটা কোম্পানির শ্রমিক মজদুর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পীযূষ দাস বলেন, একটি বেসরকারি সংস্থা ওইখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছিল। তাদের দায়িত্ব হস্তান্তর হয়েছে। এখন বাটা কোম্পানি নতুন করে লাইন নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে। খুব তাড়াতাড়ি মন্দিরে আলো এসে যাবে। আর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কৃষ্ণা বসু বলেন, ওই মন্দির আমাদের সকলেরই খুব প্রিয়। তাঁর দাবি, পাঁচমাস আগে মন্দিরটি নতুনভাবে সংস্কার হয়েছে। জঙ্গল সাফাই করা হয়। এতদিন একটি সংস্থা থেকে আলো দিচ্ছিল। এবার বাটা কোম্পানি নতুনভাবে সেখানে সংযোগ দেবে। তার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)