• বসিরহাটে সাপের উপদ্রবে বিকেল হলেই গৃহবন্দি মানুষ
    বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: সন্ধ্যা হলেই বাড়ি থেকে বের হওয়া নিয়ে চিন্তায় পড়ছেন এলাকাবাসীরা। কারণ বিভিন্ন বিষধর সাপ ঘোরাফেরা করছে রাস্তায়। কখনও তারা সাধারণ মানুষের বাড়িতেও ঢুকে পড়ছে। ফলে দুশ্চিন্তা কমার জায়গায় শীতকালে সাপ নিয়ে নতুন করে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন বসিরহাট ২ ব্লকের কচুয়া পঞ্চায়েতের গোবিলা সহ পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা।


    মূলত কৃষিনির্ভর এলাকা বলে পরিচিত বসিরহাট ২ ব্লক। সচরাচর শীতকালে সাপেরা শীতঘুমে চলে যায়, এটাই সকলের জানা। কিন্তু এখানে যেন উল্টো চিত্র। রোজই সন্ধ্যায় বের হচ্ছে বড় বড় বিষধর সাপ। কোনওটা ঢুকে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের বাড়িতেও। গত বছর শীতের মরশুমে তিনজনের সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে। এবছরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে, দুশ্চিন্তা বাড়ছে এলাকার মানুষের মধ্যে। বাধ্য হয়ে সন্ধ্যার আগেই নিজেদের বাড়িতে বন্দি করে ফেলছেন বাসিন্দারা। সন্ধ্যা পাঁচটার মধ্যেই কার্যত গৃহবন্দি কয়েকশো মানুষ।


    এলাকার বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, এই এলাকায় রয়েছে ইলেকট্রিক পোস্ট। কিন্তু তাতে বসেনি কোনও আলো। আলো বসালে ভয় কিছুটা কাটতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা সরিতুল্লা গাঁয়েন, শাজাহান গাঁয়েন, তানজিলা বিবিরা বলেন, গ্রামে সাপের আতঙ্ক আমাদের সব থেকে বেশি। শীতকালে সাপ শীতঘুমে যায় বলে শুনেছি। কিন্তু আমাদের এখানে যেন জেগে থাকে। বিকেলের পর বাইরে যেতে গেলে ভীষণ ভয় হয়। বেশ কয়েকটি সাপকে বনদপ্তরের হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে। শিশুরা বিকেলের পর আর টিউশনি যেতে পারছে না। পড়াশোনাতেও সমস্যা হচ্ছে। আমাদের দাবি, ইলেকট্রিক পোস্টগুলিতে আলো বসানো হোক।


    এনিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার পাশাপাশি আলো বসানো নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। উত্তর ২৪ পরগনা বনদপ্তরের আধিকারিক অভিজিৎ কর বলেন, আমাদের কাছে খবর এলেই সাপ উদ্ধার করা হচ্ছে। তবে মানুষের একটু সচেতন হওয়া দরকার। তাহলেই বিপদ এড়ানো সম্ভব। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)