• স্থানীয় খাবার নয়, কাশ্মীরে ক্রমশ জনপ্রিয়তা বাড়ছে মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন পদের
    বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • ফিরদৌস হাসান, শ্রীনগর: নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর ভূস্বর্গ। ‘কাশ্মীর কি কলি’, ‘মিশন কাশ্মীর’ থেকে ‘বজরঙ্গি ভাইজানে’র মতো সিনেমাতেও ফুটে উঠেছে তার রূপ। শুধু নিসর্গই নয়, জম্মু ও কাশ্মীরের সংস্কৃতির সঙ্গে মিলেমিশে রয়েছে জিভে জল আনা নানা পদের খাবার। ওয়াজওয়ান, গুস্তাবা, রোগান জোশের মতো পদ রয়েছে এই তালিকায়। রয়েছে রকমারি নিরামিষ পদও। তারমধ্যে কাশ্মীরি পোলাও, মোদুর পোলাও তো খুবই জনপ্রিয়। আর আপেল, আখরোট এবং জাফরানের জন্য ভূস্বর্গের খ্যাতি আজ জগৎজোড়া। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রুচিতেও এসেছে বৈচিত্র্য। স্থানীয় খাবারের জায়গায় মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার নানা পদ পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। 


    উপত্যকার বিভিন্ন হোটেলে অতিথিদের খাবার টেবিল আলো করছে উজবেকিস্তানের কাবাব, হুম্মুস। আজারবাইজানের খাবারও কম যায় কীসে! জল খাবার থেকে শুরু করে লাঞ্চ-ডিনারে এখন অনেকটাই জায়গা করে নিয়েছে বিদেশি খাবার।  রোগান জোশ ও গুস্তাবার মতো কাশ্মীরের জনপ্রিয় পদের বদলে অফার করা হচ্ছে বিদেশি খাবার। উত্তর কাশ্মীরের তাংমার্গের একটি কটেজ আরবাইজান ও উজবেক খাবার পরিবেশন করে অতিথিদের সুনাম অর্জন করেছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার শেফরা। তাঁরা বলেন, আজারবাইজানের কুভুর্মা (মাংস ও সব্জি দিয়ে তৈরি), লাভাশ (রুটি), শেকি হালভার মতো পদটি তৃপ্তি সহকারে খাচ্ছেন পর্যটকরা। ‘চিজ কটেজ’-এর মালিক ইনশা কাজি বলেন, ‘আমি প্রায়শই মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যাই। সেখানকার রন্ধনপ্রণালী ঠিক আমাদের মতো। তাই আমার কটেজের অতিথিদেরও পদগুলি পরিবেশন করেছি। তাঁরাও খুব তৃপ্তি করে খাচ্ছেন।’ এবার স্থানীয়দের মধ্যেও ওই খাবার পরিবেশন করা হবে বলে তিনি জানান। 


    ফোর্টিন অ্যাভিনিউ কাফের প্রধান মুজ্জামেইল আহমেদ বলেন, গত দু’মাস ধরে হুম্মুসের আমিষ ও নিরামিষ পদ পরিবেশন করা শুরু করেছি। এনিয়ে অভিযোগ পাইনি। এছাড়াও তুর্কি ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের খাবারের চাহিদাও বাড়ছে উপত্যকায়। স্থানীয় বাসিন্দা অসীম মহম্মদের কথায়, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার সঙ্গে কাশ্মীরের খাবারের মেলবন্ধন আমাদের আরও ভোজনরসিক করে তুলেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)