• আবাস যোজনায় তিনতলা বাড়ি বানিয়ে হোম স্টে, বিতর্ক টাকিতে, অভিযুক্ত রেশন ডিলারকে নোটিস পাঠাল পুরসভা
    বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বসিরহাট: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রেশন ডিলারের ঘর পাওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে টাকি পুরসভা এলাকায়। একটি একতলা বাড়িকে আবাস যোজনার টাকায় তিনতলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী সেটিকে হোম স্টে হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাড়ির উপর ঝোলানো রয়েছে হোম স্টে ব্যানার। আর নীচের তলায় আবাস যোজনার ফলক বসানো রয়েছে। তারপরই শুরু হয়েছে বিতর্ক।  


    টাকি পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মানস দাসের নামে ২০১৯-২০ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি বরাদ্দ হয়। ওই ঘরের জন্য ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। বাড়িটি তৈরি হয়েছে টাকির চার নম্বর ওয়ার্ডে পর্যটন এলাকার মধ্যে। প্রথমে বাড়িটি একতলা থেকে দু’তলা, পরে তিনতলা হয় বলে এলাকাবাসীরা দাবি। বাড়ির দোতলায় ব্যানার টাঙানো ‘ইচ্ছে ডানা হোম স্টে’। হইচই হতেই সেই ব্যানার খুলে নেওয়া হয়েছে, বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বাড়িটিতে কেন হোম স্টে লেখা হল, তা জানতে মালিককে নোটিস পাঠিয়েছে পুরসভা।  


    যদিও মানস দাস জানান, ২০১৯-২০ সালে তিনি বেকার ছিলেন। তখন আবাস যোজনার দাবি জানিয়েছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর তিনি রেশন দোকান চালাচ্ছেন। তাই আর্থিক হাল ফেরায় বাড়ি তিনতলা করেছেন। তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা উপ পুরপ্রধান ফারুক গাজি বলেন, আমরা ওঁকে দোতলার অনুমতি দিয়েছিলাম, পরে উনি তিনতলা করেছেন। এবং হোম স্টে চালু করেছেন। তিন মাস আগে পুরসভার পক্ষ থেকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। আমরা হোটেল বা হোম স্টের অনুমতি পুরসভা থেকে দিইনি। পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা যখন মানস দাসকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বাড়ি বরাদ্দ করেছি, তখন তিনি বেকার ছিলেন। রেশন ডিলার ছিল ওঁর বাবা। বাবার মৃত্যুর পর উনি রেশন ডিলারশিপ পেয়েছেন কি না তাও আমার জানা নেই। তবে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বসিরহাট জেলার সাংগঠনিক যুব সভাপতি পলাশ সরকার বলেন, যে সমস্ত দরিদ্র মানুষ ঘর পাওয়ার যোগ্য তাঁদেরকে ঘর দিচ্ছে না তৃণমূল নেতারা। যাঁরা বড়লোক, কাটমানি দিতে পারছে তাঁদের বেছে বেছে ঘর দিচ্ছে টাকি পুরসভার তৃণমূল নেতারা। আমরা চাই, দ্রুত তদন্ত করে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)