এই সময়: ফের বিতর্কে রবীন্দ্র সরোবর। এ বার সরোবরের কোর এরিয়ার ভিতরে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে কাঠগড়ায় স্বয়ং কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। অথচ তাদের হাতেই রয়েছে রবীন্দ্র সরোবরের পরিবেশ রক্ষার ভার!
পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ, রবীন্দ্র সরবোর উদ্যানের ভিতরে যেখানে দুর্গা মিউজিয়াম রয়েছে, তার পাশেই নতুন করে ঘর বানানো হচ্ছে। সেখানে আরও কয়েকটি দুর্গাপ্রতিমা রাখা হবে। তার জন্যে মাটি খুঁড়ে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।
এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন পরিবেশপ্রেমীরা। তাঁদের দাবি, রবীন্দ্র সরোবরের ভিতরে যে ভাবে একের পর এক নির্মাণকাজ চলছে তাতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। প্রতি বছর শীতের শুরুতে সরোবরে পরিযায়ী পাখিদের আগমন ঘটে। এই সময়ে নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় পরিযায়ী পাখিরাও মুখ ফেরাতে পারে।
লেক লাভার্স ফোরামের নেত্রী সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রবীন্দ্র সরোবর জাতীয় জলাশয়ের স্বীকৃতি পেয়েছে। ন্যাশনাল লেক কনজার্ভেশন পলিসি মেনে রবীন্দ্র সরোবর সংরক্ষিত হওয়ার কথা। সেই নিয়মে সরোবরের কোর এরিয়ার ভিতরে যে কোনও ধরনের নির্মাণকাজ নিষিদ্ধ। জাতীয় পরিবেশ আদালতও একই কথা বলেছে। কিন্তু কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ কোনও নিয়মই মানছেন না। পরিবেশবিধি লঙ্ঘন করে সরোবরের ভিতরে একের পর এক নির্মাণ চলছে।’
তবে কেএমডিএ–র এক আধিকারিকের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রবীন্দ্র সরোবরের ভিতর যে দুর্গা মিউজিয়াম রয়েছে সেটিকেই সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। পরিবেশবিধি মেনেই এই কাজ চলছে। বেআইনি কিছু হচ্ছে না।