সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দু’দিন বিরোধীদের হইহট্টগোলে সংসদের উভয় কক্ষই মুলতুবি হয়ে যায়। আজ তৃতীয় দিনেও স্বাভাবিক কাজকর্ম হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই। আদানি ‘ঘুষকাণ্ড’, মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে এখনও সংসদে কোনও আলোচনা হয়নি। সরকার পক্ষের লক্ষ্য, এই অধিবেশনে ১৫টি বিল পাশ করানো। তার মধ্যে ওয়াকফ সংশোধনী বিল যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে ‘এক দেশ এক ভোট’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল। আজ নজর থাকবে এই অধিবেশনের দিকে।
মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপরেই ছেড়েছেন শিবসেনা প্রধান একনাথ শিন্ডে। মোদীকে ‘পরিবারের প্রধান’ বলে সম্বোধন করে জানান, প্রধানমন্ত্রী যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাতেই সমর্থন জানাবে শিবসেনা। শিন্ডের এই মন্তব্যের পরে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান, মহারাষ্ট্রে পরবর্তী সরকার গঠন নিয়ে মোটের উপরে একটা মতানৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘মহাজুটি’র শরিক দলগুলির মধ্যে। মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে মরাঠাভূমে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ‘মহাজুটি’র শরিক দলগুলির নেতারা। আজ দেখার মহারাষ্ট্রে মুখমন্ত্রী জট কাটে কি না।
সংখ্যালঘু নেতা তথা ইসকনের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকে উত্তাল বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম, রংপুরে সংখ্যালঘুদের বিক্ষোভ, প্রতিবাদ চলছে। মঙ্গলবার সেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে এক আইনজীবীর। ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে চেয়ে বাংলাদেশের হাই কোর্টে মামলা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ইসকনকে ‘ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন’ বলে উল্লেখ করেছে। চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে দেশদ্রোহের অভিযোগ। তাঁর জামিনও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও বন্দি অবস্থায় তাঁর ধর্মীয় অধিকার সুরক্ষিত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের আদালত। তাঁর মুক্তির দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লিও। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত করা এবং চিন্ময়কৃষ্ণের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পশ্চিমবঙ্গে পথে নেমেছে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলনের পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। দিল্লি থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, বিদেশের ব্যাপারে ভারত সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করবে তাঁর দল। আজ নজর থাকবে এই সংক্রান্ত খবরে।
নভেম্বর প্রায় শেষ হতে চলেছে। তবে এখনও বঙ্গে জাঁকিয়ে শীতের দেখা নেই। বাংলার শীতের আমেজের পথে কি ‘কাঁটা’ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বঙ্গোপোসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ? দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ বুধবারই ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজ়ল’-এ পরিণত হয়েছে। শনিবার এটির স্থলভাগে প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ফেনজ়লের সরাসরি প্রভাব না পড়লেও তার জেরে সপ্তাহান্তে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উপকূলের চার জেলায়। কিন্তু ফেনজ়ল এসে পড়ায় বঙ্গে শীতের আমেজেও ভাটা পড়তে চলেছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। নভেম্বরের শেষে রাজ্যের উপকূল-সংলগ্ন জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে উত্তর ও পশ্চিমের জেলাগুলিতে আপাতত তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আজ আবহাওয়া কেমন থাকে, নজর থাকবে সে দিকে।