দীপঙ্কর জানান, সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় মালদহের হবিবপুর লেবার ওয়েলফেয়ার ফেসিলিটি সেন্টার অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। অভিযোগ, ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ওই সেন্টারের ইনস্পেক্টর থাকাকালীন তপন শ্রমিকদের সুবিধা দেওয়ার নামে সাড়ে ১৫ লক্ষেরও বেশি টাকা হাতিয়ে দেন। তিনি শ্রমিকদের জায়গায় ভুয়ো নাম ব্যবহার করে সেই টাকা নিজের এবং তাঁর পরিজনদের যুগ্ম অ্যাকাউন্টে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন বলে অভিযোগ। দাবি, সম্প্রতি অডিটে এই কারচুপি ধরা পড়ে। এর পরে এক সরকারি কর্তা দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত নেমে মঙ্গলবার অভিযুক্ত তপনকে গ্রেফতার করেন দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকেরা।
এ দিন তপনকে আদালকে হাজির করা হয়। দীপঙ্কর বলেন, ‘‘এই মামলায় অনেক নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রতারণার টাকা ঢুকেছে— এমন অনেকগুলি সিঙ্গল এবং জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বেশ কিছু ভুয়ো অ্যাকাউন্টেরও সন্ধান মিলেছে। এই প্রতারণায় আরও অনেকে জড়িত। তাদের গ্রেফতার করা দরকার।’’ তাই তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানান দীপঙ্কর। তপনের আইনজীবী, তাঁর মক্কেলের জামিনের আবেদন করেন। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পরে তপনকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।