• ঘূর্ণিঝড় 'ফেনজল'-এর কী প্রভাব বাংলায়? জাঁকিয়ে ঠান্ডা নিয়ে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
    আজ তক | ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • শীতের শুরু হলেও জাঁকিয়ে ঠান্ডার অনুভূতি এখনো আসেনি। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের আগে বাংলায় জোরালো শীত পড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে শীতের আমেজ থেমে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২-৩ দিনে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখন ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে রয়েছে এবং দিনের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ডিসেম্বরের শুরু থেকে আবার তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস
    আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে, বিশেষত পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়, সপ্তাহান্তে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।

    উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি
    উত্তরবঙ্গে শীতের আমেজ বজায় থাকলেও দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের পার্বত্য অঞ্চলে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানকার কয়েকটি এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা।

    ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দক্ষিণে সীমাবদ্ধ
    দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি শ্রীলঙ্কা এবং তামিলনাড়ুর উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এই কারণে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়া নিষেধ করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর উপকূলে মাছ ধরার ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
    কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ভোর এবং রাতের দিকে শীতের আমেজ ভালোই বজায় থাকবে। আজকের বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৫১ থেকে ৯৫ শতাংশের মধ্যে। নভেম্বরের শেষের দিকে রাতের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছতে পারে।

     
  • Link to this news (আজ তক)