বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, কোনও ওয়াকফ সম্পত্তি বেদখল হলেও রাজ্য ‘বুলডোজ়ার নীতি’ নেবে না বলে বিধানসভায় স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ‘এখন যাঁরা ওখানে বসবাস করছেন, কিছু গড়ে তুলেছেন, সেটা ভেঙে দেওয়ার নীতি রাজ্যে নেই।’ তবে, বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়া যেতে পারে।
সূত্রের খবর, বিধানসভার চলতি অধিবেশনেই ওয়াকফ সংক্রান্ত একটি বিল পেশ করতে পারে সরকার। তবে, সেটা বিল না কি প্রস্তাব আকারে আনা হবে, সেটা স্পষ্ট নয়। যদিও সংসদে ওয়াকফ বিল নিয়ে কেন্দ্রকে ছেড়ে কথা বলা হবে না, সেটা এ দিন স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। নতুন সংশোধনী বিলের একাধিক ত্রুটির কথা বিধানসভায় তুলে ধরেন তিনি। মমতা বলেন, ‘এই বিলটির মাধ্যমে ২৬ নম্বর ধারায় প্রদত্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার এবং ১৪ নম্বর ধারায় সাম্যের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। এই কারণে আমরা এই বিলটির কঠোর প্রতিবাদ করছি।’ সংসদেও এই বিলের বিরোধিতায় তৃণমূল নেতৃত্ব দেবে বলেও উল্লেখ করেন মমতা।
রাজ্যে ওয়াকফ বোর্ডের বহু জমি বেহাত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এই প্রসঙ্গে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে এই রকম কিছু হয়নি। যা হওয়ার বিগত সরকারের আমলে হয়েছে। জমি দখলের বিষয়টি ওয়াকফ বোর্ডের ট্রাইবুনালকে জানানো হয়েছে। জমি উদ্ধারের জন্য নোটিসও দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
ওয়াকফ সংশোধনী বিলটি সংসদে পেশ করা হলে বিরোধীরা আপত্তি জানিয়েছিল। একমত হওয়ার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়। তবে, মমতার অভিযোগ যৌথ কমিটি গঠন করা হলেও সেখানে বিরোধীদের কথা বলার জায়গা নেই। কমিটির মেয়াদ ছিল ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত। সব পক্ষের কথা শোনা হয়নি বলে দাবি করেছে বিরোধীরা। এই কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র।