জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'নির্দিষ্ট একটা ধর্মের বিরুদ্ধে প্রচন্ড বিদ্বেষমুলক মনোভাব নিয়ে চলে'। বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে এবার কেন্দ্রকে নিশানা করলেন মুখ্য়মন্ত্রী। বললেন, 'এক্ষেত্রে আমাদের ভূমিকা খুবই সীমাবদ্ধ। ভারত সরকার, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিতে পারে'।
পদ্মাপারে অশান্তি। বদলের বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর 'নিপীড়ন'। আজ, বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের শপথগ্রহ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাঁচিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, 'আমরা তো কেউ ঘটনাটিকে সমর্থন করছি না। যেকোনও ঘটনা যেকোনও ধর্মের উপরই হোক না কেন, আমরা সমর্থন করি না। এক্ষেত্রে আমাদের ভূমিকা খুবই সীমাবদ্ধ। ভারত সরকার, বাংলাদেশ সরকারে সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিতে পারে। বিদেশনীতির ব্য়াপারে তৃণমূলের অবস্থান হচ্ছে যে, যখনই সরকারে থাকুক না কেন,আমরা সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করি'।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'কোনও ধর্মের উপরে কোনও বর্ণের উপরে, কোনও জাতির উপরে অত্যাচারই আমরা মানি না। না হিন্দু, না মুসলমান, না শিখ না খ্রীষ্টান। আমরা সবাই এক। আজ নয়, যেসব ঘটনা গত এক বছর ধরে ঘটছে, প্রত্যেকটা ঘটনার জন্যই আমার দুঃখিত। কিন্তু দুঃখিত হলেও আমরা যেহেতু অন্য দেশের নাগরিক। দুটি দেশই কথা বলতে পারে, সেটল করতে পারে'।
তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, 'আমাদেরকে কোনওভাবে যুক্ত করা হয় না, আমরা জানিও না। তিস্তার ব্যাপারে চুক্তি হয়ে গিয়েছিল, আমাদের জানানোও হয়নি। আমরা বাংলাদেশকে ভালোবাসি, বাংলাদেশও নিশ্চয়ই ভারতকে ভালোবাসে। বাংলাকেও ভালোবাসে। আমাদের ভাষা, সাহিত্য়, পোশাক পরিচ্ছদ সবই এক। রাজনৈতিক ভিত্তিতে যাই মতভেদ থাকুন না কেন, আমরা এটা নিশ্চয়ই চাই না যে কোনও ধর্মে ধর্মে বিভেদ হোক এবং তার রেশ কারও উপর পড়ুক। কেন্দ্রীয় সরকারে যাঁরা আছে, তাঁরাও নির্দিষ্ট একটা ধর্মের বিরুদ্ধে প্রচন্ড প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব নিয়ে চলে। আমরা মনে করি কোনটাই ঠিক নয়। মন্দিরও থাকবে, মসজিদও থাকবে। গুরুদ্বারও থাকবে, গির্জাও থাকবে। আমরা শান্তির পক্ষে, উন্নয়নের পক্ষে ধর্মীয় মতামত যেন প্রত্যেকে পালন করতে স্বাধীনতার অনুযায়ী, আমরা এটার পক্ষে'।