• কাটোয়ার শ্রীখণ্ডের মেলায় হটকেক তিন কেজির পেল্লাই ‘নোড়া মিষ্টি’
    বর্তমান | ২৯ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাটোয়া: একটা মিষ্টির ওজন তিন কেজি! না, স্বপ্ন নয়, এটাই সত্যি। পেল্লাই সাইজের দু’তিন কেজি ওজনের নোড়া মিষ্টি কিনতে ভিড় জমছে কাটোয়ার শ্রীখণ্ড গ্রামে বড়ডাঙার মেলায়। তিন কেজি ওজনের নোড়া মিষ্টির দাম ৫০০টাকা। মেলায় কয়েক লক্ষ টাকার মিষ্টি বিক্রি হয়েছে। অনেকের কাছে শ্রীখণ্ডের মেলায় মূল আকর্ষণ নলেন গুড়ের এই পেল্লাই নোড়া মিষ্টি। গোল নয়, লম্বা ল্যাংচার মতো দেখতে এই মিষ্টি কিনতে দোকানে দোকানে ভিড় উপচে পড়ে।


    প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসে কাটোয়া-১ ব্লকের শ্রীখণ্ড গ্রামের বড়ডাঙায় মেলা বসে। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের পার্ষদ নরহরি সরকার ঠাকুরের বিরহতিথি উপলক্ষ্যে এই মেলা। চারদিন ধরে পালাকীর্তন, বাউল কীর্তন সহ নানা অনুষ্ঠান হয়। মেলায় প্রায় ৩০০দোকান বসে। তার মধ্যে অনেক মিষ্টির দোকান রয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে লক্ষাধিক ভক্ত এই মেলায় আসেন। 


    এই মেলায় যে দৈত্যাকার নোড়া মিষ্টি বিক্রি হয়, তাকে অনেকেই ভালোবেসে পাশবালিশ মিষ্টি বলেন। কেউবা এর নাম দিয়েছেন ‘রসগোল্লার বড় দাদা’। এক, দুই ও তিন কেজি ওজনের মিষ্টির দাম পড়ে ১৫০, ২৫০ ও ৫০০ টাকা। এছাড়া, এই মেলায় রংবেরংয়ের গজাও ভালো বিক্রি হয়।


    প্রায় এক ফুট লম্বা নোড়া মিষ্টি খেতে অনেকেই এই মেলায় আসেন। এই মিষ্টি বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ভাগ করে খাওয়ার মজাই আলাদা। এবার প্রচুর ভক্তসমাগম হয়েছে। তাই রসগোল্লার বড় দাদার চাহিদাও বেড়েছে।


    কৈথন গ্রামের মিষ্টি ব্যবসায়ী কাশীনাথ হাজরা বলেন, এবার নোড়া মিষ্টি ভালোই বিক্রি হচ্ছে। সারা বছর এই মিষ্টির দেখা মিলবে না। তবে শ্রীখণ্ড গ্রামের মেলায় হটকেকের মতোই বিকোচ্ছে। অপর মিষ্টি বিক্রেতা বাবু মণ্ডল বলেন, আমার কয়েকদিনে ২০ হাজার টাকার মিষ্টি বিক্রি হয়েছে। 


    কৈথন গ্রামের বাসিন্দা মৌমিতা হালদার, ভাতারের সাধনা দাস, ধীরেন দাস বলেন, আমরা প্রতি বছর শ্রীখণ্ড মেলায় আসি। একটি বড় মিষ্টি কিনে সবার সঙ্গে ভাগ করে খাই। একা এই মিষ্টি খেয়ে পেরে ওঠা যাবে না।
  • Link to this news (বর্তমান)