• ঘাটালে জরাজীর্ণ কাঠের সেতু থেকে পড়ে মৃত্যু, বিক্ষোভ
    বর্তমান | ২৯ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ঘাটাল: ঘাটাল থানার কনকপুরে জরাজীর্ণ কাঠের সেতু থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হল। মৃত নিশীথ চক্রবর্তী (৪১) কনকপুরেরই বাসিন্দা ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরপরই এলাকার মানুষ দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা সেখানে কংক্রিটের সেতু তৈরির দাবি তুলেছেন। করোনা সঙ্কটের আগে ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী(দেব) ওই জায়গায় কংক্রিটের সেতু তৈরির কাজের শিলান্যাস করেছিলেন। তারপর প্রায় পাঁচবছর কেটে গেলেও সেতুর কাজ আরম্ভ হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিক সময়ে কংক্রিটের সেতু তৈরি হলে এই বিপত্তি হতো না। পুলিস জানিয়েছে, বুধবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় নিশীথবাবু কোনওভাবে জলে পড়ে গিয়েছিলেন। তিনি সাঁতার জানতেন না। ফলে জলে ডুবে তাঁর মৃত্যু হয়।


    বুধবার নিশীথবাবু দাসপুর থানার গুড়লিতে একটি যজমান বাড়িতে পুজো করতে গিয়েছিলেন। রাতে হেঁটেই বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু তিনি বাড়ি পৌঁছননি। এদিন সকাল থেকেই তাঁকে খোঁজা শুরু হয়। কনকপুরের বাসিন্দা উত্তম মাইতি, শুভজিৎ ভুঁইয়ারা জানান, নিশীথবাবুকে কোথাও না পেয়ে অবশেষে গ্রামবাসীরা খালের জলে তল্লাশি শুরু করেন। তখনই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।


    কনকপুরের ওই সেতুটি কাঠের পাটাতন দিয়ে তৈরি। একটি বাইক গেলেই দুলতে শুরু করে। তাই চকলছিপুর, বাঘাগেড়িয়া, কনকপুর, শোলাগেড়িয়া, ইসলামপুর, নারায়ণপুর সহ ২০-২৫টি গ্রামের মানুষ সেখানে একটি কংক্রিটের সেতু তৈরির জন্য বহুদিন ধরে দাবি জানাচ্ছেন। পাকা সেতু হলে বাইক, ছোট গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে। ফলে ওই সমস্ত গ্রাম থেকে দাসপুরের দূরত্ব অন্তত ৩০ কিলোমিটার কমে যাবে। ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকা সেতুর কাজের শিলান্যাস হয়েছিল। কিন্তু তারপর আর কাজ এগোয়নি।


    ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি বিকাশ করের বাড়িও ওই এলাকা। তিনি বলেন, সেতু থেকে পড়েই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে  শুনেছি। কংক্রিটের সেতুর কাজ এখনও শুরু না হওয়ায় আমরা বেশ অপ্রস্তুত। কাঠের সেতুটি সাময়িকভাবে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু মেদিনীপুরে উপনির্বাচনের জন্য সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
  • Link to this news (বর্তমান)