বল্লায় আগুন লাগানোর অভিযোগ অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে
বর্তমান | ২৯ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: নদী বাঁধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত বল্লাতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে একাধিক ইউক্যালিপটাসের বল্লা। তারসঙ্গে বহু খালি বস্তাও পুড়িয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার সকালে পুরশুড়ার কেলেপাড়া সংলগ্ন আরামবাগ থানার কেশবপুর মৌজা এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মুন্ডেশ্বরী নদীতে ভাঙন মেরামতির কাজ হচ্ছিল সেখানে। এই ঘটনায় এদিনই আরামবাগ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ঠিকাদার সংস্থা। পাশাপাশি এদিন নদী বাঁধ তৈরির কাজও হয়নি। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে ঠিকাদার সংস্থা। পাশাপাশি বাঁধ সংলগ্ন এলাকাতেই শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
ঠিকাদার সংস্থার তরফে অর্ণব সিংহ রায় বলেন, শ্রমিকরা বাঁধ তৈরির কাজ সেরে রাতে চলে যান। সাইটে একটি জায়গায় বল্লা গাদা করে রাখা হয়েছিল। তাতেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় ১১০টি বল্লা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। তারসঙ্গে ১০ হাজারের বেশি খালি বস্তাও পুড়িয়ে দিয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় আমরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি। ঘটনার কথা সেচদপ্তরকে জানিয়েছি। পাশাপাশি থানায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েও অভিযোগ দায়ের করেছি। এর আগেও একাধিক জায়গায় এভাবে ক্ষতি করা হয়েছে। তাতে আমরা আতঙ্কিত। এইভাবে কাজ করতে বাধার সৃষ্টি করা হলে সমস্যা হবে। আগামী দিনে এরকম পরিবেশে কাজ করা আমাদের পক্ষে কঠিন। সেচদপ্তরের হুগলি জেলার এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবেন্দ্র সিংহ বলেন, একটি সাইটে এরকম ঘটনার খবর আমরা শুনেছি। এরকম ঘটনা ঘটলে নদী বাঁধ তৈরির কাজে ব্যাঘাত ঘটবে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থা তাদের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব বলতে পারবে।
ওই সংস্থার শ্রমিকরা বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর শুনে সাইটে এসে দেখলাম বল্লা ও বস্তা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সকাল সাতটা নাগাদও আগুনের ধোঁয়া দেখা যায়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে দুর্গাপুজোর সময়ে খানাকুলের তালিত এলাকায় বাঁধ নির্মাণের একটি দামি যন্ত্রে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছিল অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পর বাঁধ নির্মাণের কাজের গতি কিছুটা শ্লথ হয়। ফের কেশবপুরে বাঁধ নির্মাণের সামগ্রীতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
ঠিকাদার সংস্থার দাবি, এর আগে অন্য একটি সাইট থেকে যন্ত্রের ব্যাটারি খুলে নেওয়া হয়। শ্রমিকরা এই ধরনের ঘটনায় আতঙ্কিত। আমরা চাই, প্রশাসন দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিক। -নিজস্ব চিত্র