নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: মহিলা কামরায় রোমিওদের দাপাদাপি কমাতে অভিযান চালাল আরপিএফ। অনেকেই প্রেমিকার সঙ্গে মহিলা কামরায় উঠে যায়। অন্য যাত্রীদের আপত্তি তারা তোয়াক্কা করে না। তা নিয়ে অশান্তিও বাধে। এদিন আরপিএফ আচমকাই অভিযান চালালে রোমিওরা বিপাকে পড়ে। বর্ধমান স্টেশনের লোকাল সহ বিভিন্ন ট্রেনেই অভিযান চালানো হয়। ভেন্ডার এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দ কামরাতেও অভিযান চলে। সব মিলিয়ে কয়েক ঘণ্টায় ৯৪জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক আরপিএফ আধিকারিক বলেন, রামপুরহাট থেকে বর্ধমানে আসা লোকাল ট্রেনগুলিতে তল্লাশি চালানো হয়। একইভাবে হাওড়া লোকালগুলিতেও অভিযান চলে। মহিলা কামরায় না ওঠার জন্য বারবার সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়। তারপরও অনেকে নিয়ম অগ্রাহ্য করে। একইভাবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এবং ভেন্ডার কামরাতেও অনেকেই যাতায়াত করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। এই কামরাগুলিতেও সাধারণ টিকিটের যাত্রীরা উঠতে পারে না। নিয়ম জানার পরও অনেকে নিজেদের সুবিধার জন্য কামরাগুলিতে উঠে যায়। যাদের জন্য বরাদ্দ কামরা তারাই অনেক সময় সিট পায় না। এছাড়া বিভিন্ন লোকাল ট্রেনে অনেকেরই ধূমপান করার অভ্যাস রয়েছে। তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যান্য যাত্রীরা অসুবিধায় পড়েন। অভিযান চালিয়ে তাদেরও কয়েকজনকে পাকড়াও করা হয়েছে। মাঝেমধ্যেই এ ধরনের অভিযান চলবে। বেআইনিভাবে সিট দখল করাও যাবে না।
আরপিএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বহু যাত্রী এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্যত্র যাওয়ার জন্য রেললাইন পার হয়। পরিশ্রমের ভয়ে তারা ওভারব্রিজে উঠতে চায় না। রেললাইন দিয়ে যাওয়ার সময় প্রাণহানি হতে পারে। তা নিয়েও মাঝেমধ্যেই প্রচার চালানো হয়। অনেক যাত্রী জীবনে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে পছন্দ করে। এদিন তাদের ধরার জন্য আরপিএফ কর্মীরা ওত পেতেছিল। ২০জনের বেশি যাত্রী তাদের জালে পড়েছে। আগামী দিনে অন্যান্য স্টেশনগুলিতেও একইভাবে অভিযান চালানো হবে। আরপিএফের আর এক আধিকারিক বলেন, ট্রেনের মধ্যেও তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে রাতের ট্রেনগুলিতে নজরদারি চালানো হয়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে ট্রেনের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় অস্ত্র ঢুকছে। মুঙ্গের থেকে অস্ত্র আনা হচ্ছে। আরপিএফের দাবি, সন্দেহজনক কোনও কিছু দেখলেই তা বাজেয়াপ্ত করা হয়। বহু দুষ্কৃতী ট্রেন থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে। পাশাপাশি যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়টিও দেখা হয়। প্রতীকী ছবি