যত্রতত্র যানবাহন রাখার জেরে নাভিশ্বাস বাঁকুড়া মেডিক্যালে আসা লোকজনের
বর্তমান | ২৯ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: যত্রতত্র যানবাহন রাখার কারণে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নাভিশ্বাস উঠছে। বাইক সহ অন্যান্য যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকার ফলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, প্রসূতি বিভাগ, আউটডোর সহ অন্যান্য বিভাগে যাতায়াত করতে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বাইরে থেকে রোগী নিয়ে আসা অ্যাম্বুলেন্সও মাঝেমধ্যে ইমার্জেন্সিতে পৌঁছতে পারছে না। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের বাইক সরিয়ে অ্যাম্বুলেন্সকে ঢোকার রাস্তা করে দিতে হয়। স্থায়ী পার্কিং লট না থাকার কারণেই এতদিন সমস্যা হচ্ছিল বলে হাসপাতালের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয়েছে। হাসপাতালের পিছনে নার্সিং আবাসন সংলগ্ন এলাকায় নতুন পার্কিং জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ওই এলাকার ঝোপজঙ্গল কেটে সাফাই করা হয়েছে। জমি সমান করার কাজও শুরু হয়েছে।
বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি অর্পণকুমার গোস্বামী বলেন, এতদিন হাসপাতালের সামনে যত্রতত্র বাইক, চারচাকা রাখা হতো। হাসপাতালের কর্মী সহ অন্যান্যরা সেখানে যানবাহন রাখতেন। তারফলে যানজট হতো। অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে সমস্যা হচ্ছিল। সেই কারণে আমরা নতুন পার্কিং জোন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিই। নার্সদের আবাসন সংলগ্ন ওই ফাঁকা জায়গা দীর্ঘদিন ধরেই পড়েছিল। সেখানে আগাছা জন্মে গিয়েছিল। কেউ কেউ আবর্জনাও ফেলছিলেন। ফলে ওই জায়গা সাফাই করে আমরা পার্কিং জোন করছি। চারদিক থেকে রাস্তা গিয়ে ওই জায়গায় মিশেছে। ফলে বিভিন্ন দিক থেকে হাসপাতালে আসা লোকজন সহজেই সেখানে তাঁদের যানবাহন রাখতে পারবে।
উল্লেখ্য, বাঁকুড়া মেডিক্যালে আগে একটিই মূল ভবন ছিল। বর্তমানে হাসপাতালের গোবিন্দনগর ক্যাম্পাসেই একাধিক ভবন গড়ে উঠেছে। উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে পৃথক সুপার স্পেশালিটি ব্লক তৈরি হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও তাদের আত্মীয় মিলিয়ে দৈনিক কয়েক হাজার মানুষ হাসপাতালে যাতায়াত করে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই গণপরিবহণ ব্যবহার করেন। তাঁদের নিয়ে ততটা সমস্যা নেই। কিন্তু, অনেকেই বাইক, চারচাকা যানবাহনে হাসপাতালে আসেন, তাঁরাই যত্রতত্র যানবাহন রেখে চলে যান। সকালের দিকে কেউ বাইক রাখলে দুপুরে বের করতেই তাঁকে হিমশিম খেতে হয়। কারণ তাঁর পরেও অনেকে সংশ্লিষ্ট জায়গায় নিয়ম না মেনেই বাইক রেখে হাসপাতালের বিভিন্ন কাজে চলে যান। পার্কিং জোন তৈরি হলে সেই সমস্যা হবে না। সেখানে থাকা কর্মীরা শৃঙ্খলা মেনে সারিবদ্ধভাবে বাইক সহ অন্যান্য যানবাহন রাখার ব্যবস্থা করবেন। ফলে সব দিক থেকেই সুবিধা হবে।