তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের কলেজে আস্ফালন, গাড়ি চাপা দিয়ে মারার হুমকি
বর্তমান | ২৯ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া: কালীপুজোর রাতে থানায় ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এবার কলেজে ঢুকে অধ্যাপকদের ‘গাড়ি চাপা’ দিয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে রঘুনাথপুরের প্রাক্তন বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরির বিরুদ্ধে। পুরুলিয়া পঞ্চকোট কলেজের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলাজুড়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ এবং দুই অধ্যাপক এনিয়ে জেলার পুলিস সুপারকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগের কপি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও। কলেজের অধ্যক্ষ সপ্তর্ষি চক্রবর্তী বলেন, যা অভিযোগ, জেলার পুলিস সুপারকে জানিয়েছি। আমরা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। কলেজের মধ্যেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাঁদের অভিযোগ, গত ২৬ নভেম্বর বিকেলে কলেজে আসেন পূর্ণচন্দ্র বাউরি। তিনি ওই কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যও। সেই সময় কয়েকজন অধ্যাপকের ক্লাস শেষ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা কলেজ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পূর্ণচন্দ্রবাবু তাঁদের আটকে দেন। অভিযোগ, অশ্রাব্য ভাষায় অধ্যাপকদের গালিগালাজ করতে থাকেন। এমনকী, অধ্যাপকদের গাড়িতে পিষে মারার হুমকি দেওয়ার ও এক অধ্যাপকের জামার কলার ধরে শারীরিক নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নিতুড়িয়া থানায় ফোন করেন অধ্যাপকরা। কিন্তু তাঁদের দাবি, পুলিস এব্যাপারে কোনও পদক্ষেপই করেননি। এরপরেই পুলিস সুপারের কাছে কলেজের অধ্যক্ষ সপ্তর্ষি চক্রবর্তী, অধ্যাপক বিপ্লব কাহার ও সরোজ সেন লিখিত অভিযোগ জানান। জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে। যদিও পূর্ণচন্দ্রবাবু বলেন, অধ্যাপকরা কলেজে নিয়মিত আসেন না। অধ্যক্ষও কলেজে দীর্ঘদিন ধরে আসছেন না। এই অবস্থায় চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের মাইনে বন্ধ হয়ে রয়েছে। গভর্নিং বডির বৈঠকও হচ্ছে না। এসব অভিযোগ পেয়ে এবং আরও কিছু প্রয়োজনে মঙ্গলবার কলেজে গিয়েছিলাম। দেখলাম, কয়েকজন অধ্যাপক সময়ের আগেই চলে যাচ্ছেন। তাই তাঁদের বলি, ছুটি হলে কলেজ থেকে বেরবেন। এসব অনিয়ম চলবে না। এরপরই তাঁরা তর্কাতর্কি শুরু করেন। আমি কলেজ থেকে চলে আসি। পরে জানতে পারি, আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।