• জমি দখল ছাড়াও একাধিক অভিযোগে ধৃত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সহ আটজন
    বর্তমান | ২৯ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: মহেশপুর ও মেরুয়াল মৌজায় বিঘা বিঘা জমি জবরদখল ও তোলাবাজির অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে চাপা উত্তেজনা ছিল কমলাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। অভিযোগের কেন্দ্রে ছিলেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সোনা তপ্ন ও তাঁর অনুগামীরা। শেষপর্যন্ত রায়গঞ্জ থানার পুলিস বৃহস্পতিবার তৃণমূল সদস্য সহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে জমি জবরদখল করা, ভয় দেখিয়ে তোলাবাজি, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে অবৈধ জমায়েত, পরিকল্পনামাফিক অপরাধ, চুরি সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। সরকারি আইনজীবী নীলাদ্রি সরকার জানান, এদিন জেলা আদালতে ধৃতদের হাজির করা হলে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।


    গত কয়েকমাস মহেশপুর ও মেরুয়াল মৌজায় বেশকয়েক বিঘা জমি জবরদখল নিয়ে চাপা উত্তেজনা ছিল কমলাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এ ব্যাপারে স্থানীয়দের একাংশ ওই পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ, পুলিস সুপার ও রায়গঞ্জের ডিএফও-র দপ্তরে স্মারকলিপি দেওয়া, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ, আন্দোলন চালিয়েছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিস এদিন গ্রেপ্তার করেছে বলে খবর। পুলিস সুপার সানা আখতার বলেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ, জমি দখল সহ একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তারি। 


    পুলিস ও আদালত সূত্রে খবর, রতন বর্মন নামে একজনের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। ধৃতরা কর্তব্যরত পুলিসকেও সরকারি কাজ করতে বাধা দিয়েছিলেন।


    এদিন পঞ্চায়েত সদস্য আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, আদিবাসীদের জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। নিয়ম মেনে জমি নেওয়া হয়নি। ওই জমি আদিবাসীদের। এসব বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর চাল। যদিও এ ব্যাপারে বিধায়ক বলেন, একজন অভিযুক্ত কী বলেছেন, তার জন্য কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না। 


    এদিকে মহেশপুর ও মেরুয়াল মৌজার জমি দখল নিয়ে সরব হওয়া আন্দোলনকারীদের অন্যতম অনিমেষ চক্রবর্তী বলেন, আমরা অনেক দিন ধরেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছি। শুধু বিঘা বিঘা জমি জবরদখল করা নয়, তোলাবাজি ও অন্যের জমিতে ঢুকে কয়েকশো গাছ কেটে নিয়েছেন সদস্য ও তাঁর দলবল। আমরা এব্যাপারে ডিএফওর কাছে নালিশ জানিয়েছি। একাধিকবার জেলার পুলিস সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। বুধবার ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি থাকা জমিতে ঢুকে জমায়েত করে নির্মাণ কাজ করছিলেন ওঁরা। বিষয়টি পুলিসকে জানাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে বাসিন্দারা সবাই খুশি।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)