সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: বীরেন্দ্র কুমার মৈত্র উপ বাজার চত্বরে পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। সাবমার্সিবল ও চারটি ট্যাঙ্ক অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। দোকান থেকে জল কিনে খেতে হচ্ছে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে। বাজার চত্বরে থাকা শৌচালয়গুলিও তালা বন্ধ। এতে হাটে আসা ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ চরম সমস্যায় পড়েন। হাট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। যদিও মালদহ জেলা রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বিমলকৃষ্ণ রায় সাবমার্সিবল মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন।
২০০৯ সালে ১২০ বিঘা জমি নিয়ে তুলসীহাটায় এই উপ বাজার গড়ে ওঠে। রবিবার বসে সাপ্তাহিক হাট। মালদহের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা আসেন। কাপড়, সব্জি, ফল, গোরু ও ছাগল কেনাবেচা হয়।
রবিবার ছাড়া বাকি দিনেও বাঁশ ব্যবসায়ীদের কেনাবেচা চলে। আলু ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা রবিবার ব্যবসা করার জন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় চলে আসেন হাটে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, হাটের চারদিকে জলের ট্যাঙ্কগুলি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। রবিবার শুধু নলকূপ বসানো হয়। বাকি দিনগুলিতে নলকূপ খুলে রাখা হয়। রবিবার জলের কিছুটা সমস্যা মিটলেও অন্য দিনে চরম সমস্যা হয়।
উপ বাজার চত্বরে একটি ও হরিশ্চন্দ্রপুর ১ কৃষক বাজারে একটি পুরুষ ও একটি মহিলাদের জন্য শৌচালয় থাকলেও সেগুলি বন্ধ। ইঞ্জিনিয়ার বিমলবাবু বলেন, হাটের সমস্যাগুলি ওপরমহলে জানানো হয়েছে। অর্ডার পেলেই কাজের টেন্ডার ধরা হবে। তবে শীঘ্রই একটি মোটর ঠিক করা হবে।
জেলা রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির সম্পাদক অসিত বর বলেন, সাবমার্সিবলের একটি মোটর ঠিক করা হয়েছে। বাকি শৌচালয় ও সাব মার্সিবলের টেন্ডার ধরা হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। বন্ধ শৌচালয়। -নিজস্ব চিত্র