সংবাদদাতা, চোপড়া: চোপড়ার বিভিন্ন ঘাটে বালি তুলে পাচার রুখতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে ব্লক প্রশাসন ও পুলিস। বৃহস্পতিবার ফের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণপুর এলাকায় একাধিক ঘাটে অভিযান চালানো হয়। এদিন বালি তোলার মেশিন সহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চোপড়া থানার আইসি সুরজ থাপার নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী অভিযান চালায়। সঙ্গে ছিলেন চোপড়ার জয়েন্ট বিডিও ডমিট লেপচা ও ভূমি দপ্তরের কর্মীরা। যদিও অভিযানে গ্রেপ্তারির কোনও খবর নেই।
স্থানীয়দের দাবি, চোপড়া থানা এলাকা বালি পাচারকারীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ব্লকের মাঝিয়ালি, নারায়ণপুর, ডাকুয়াগছ, বৈশাগুগছ দাসপাড়ার বালাবাড়ি, দলুয়া, কুমারটোল ও বেরং ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় চলছে বালি খনন ও পাচারের কাজ। স্থানীয় নেতা ও পুলিস, প্রশাসনের একাংশের মদতেই রমরমিয়ে কারবার চলছে বলে মনে করছেন তাঁরা। কারণ বালি মাফিয়াদের এতটাই বেপরোয়া যে তারা নদীর ধারে অবৈধ ঘাটগুলিতে বালি তোলার জন্য বড় বড় মেশিন নামিয়েছে। মাথায় বড় কোনও হাত না থাকলে তারা এতটা বেপরোয়াভাবে পাচার করার সাহস দেখাত না।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ডক নদী থেকে বালি চুরি করে পাচার করার অভিযোগ উঠছিল। চোপড়া থানার পুলিস, ব্লক প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার দপ্তর যৌথ অভিযান চালিয়ে এদিন নদী থেকে বালি তোলার মেশিন ও সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে।
বালি পাচার রুখতে ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্যান্ড মাইনিং পলিসি ঘোষণা করেন। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বালি পাচার বন্ধ করে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করা। সেই আইনের তোয়াক্কা না করে ব্লকের বেরং ও ডোক নদীর পাশাপাশি দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেরসা থেকে দেদার তোলা হচ্ছে বালি। ডমিট লেপচা বলেন, অভিযান চালিয়ে বালি তোলার বেশকিছু সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
চোপড়া থানার আইসি সুরজ থাপা জানিয়েছেন, অভিযানে গত এক সপ্তাহে ১১ টি বালি বোঝাই গাড়ি এবং আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চোপড়ায় অবৈধ বালিরঘাটে অভিযান প্রশাসনের।-নিজস্ব চিত্র