নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: বাংলার বাড়ি প্রকল্পে মালদহে যোগ্য উপভোক্তার সংখ্যা ৯২ হাজার ৫৯২। প্রকাশিত খসড়া তালিকা থেকে এই তথ্য জানা গিয়েছে। খসড়া তালিকা নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তা জানানোর সময়সীমা ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই প্রকল্পে জেলার সবচেয়ে বেশি উপভোক্তা হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকে। এই ব্লকের ২১ হাজার বাড়িতে সমীক্ষা চালিয়েছে প্রশাসন। এর পরেই রয়েছে চাঁচল। এখানে সমীক্ষা হয়েছে ১৮ হাজার বাড়িতে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অনিন্দ্য সরকার বলেন, খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। কোনও অভিযোগ থাকলে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে জানাতে হবে।
প্রকল্পের খসড়া তালিকা মোট চারটি জায়গা থেকে পাওয়া যাবে। জেলা শাসকের অফিস, জেলার সমস্ত বিডিও এবং গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের পাশাপাশি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে এই তালিকা আপলোড করা হয়েছে। বুধবার সমস্ত জায়গায় এই তালিকা প্রকাশিত হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলার ১৪৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি করে গ্রামসভা হবে। সেখানে গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে চূড়ান্ত হবে প্রকল্পের উপভোক্তার তালিকা। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রামসভার বৈঠক করবে পঞ্চায়েতগুলি। গ্রামসভার তালিকা নিয়ে ব্লক লেভেল কমিটি বৈঠকে বসবে। ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলার ১৫ টি ব্লকের বৈঠক করে নিতে হবে। সবশেষে চূড়ান্ত বৈঠকে বসবে জেলা প্রশাসন। জেলাকে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই বৈঠক সেরে ফেলতে হবে। এমনটাই নির্দেশ এসেছে রাজ্যের তরফে।
মালদহ জেলাজুড়ে সমীক্ষা চালিয়ে মোট ১ লক্ষ ২৩ হাজার মানুষের তালিকা তৈরি হয়। এর মধ্যে ৯২ হাজার ৫৯২ জন যোগ্য উপভোক্তা। অর্থাৎ যাদের নিজস্ব জমি থাকলেও বাড়ি নেই। বাকি ৩০ হাজার ৪০৮ জনের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার উপভোক্তা নিষ্ক্রিয়। অর্থাৎ প্রকল্পের তালিকায়
নাম থাকলেও বারবার সমীক্ষা করতে গিয়ে তাঁদের পাওয়া যায়নি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে,তালিকায় থাকা ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। তাঁর উত্তরাধিকারী হয়তো চারজন। যাঁদের মধ্যে যে কোনও একজন এই
বাড়িটি পাবেন। কিন্তু কে বাড়িটি পাবেন, তা ওই পরিবার ঠিক করে উঠতে না পারায় সেই নাম নিষ্ক্রিয়ের তালিকায় চলে গিয়েছে। বাকি ২৬ হাজার ৪০৮ জন অযোগ্য। অর্থাৎ তাঁদের পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও কোনও সময় বাংলার বাড়ি প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন।