নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এবার রাজ্যের সাইবার থানাগুলির হাল হকিকত নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট। সাইবার থানায় কর্মরত অফিসারদের কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়? থানাগুলিতে কী ধরনের পরিকাঠামো রয়েছে? তা নিয়ে রাজ্য পুলিসের ডিজিকে দু’সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
নদীয়ার মুরুটিয়া থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার সূত্রে এই রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, ধর্ষণের পর এক মহিলার নগ্ন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করার অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় সাইবার ক্রাইম থানা বাকি সব ধারা প্রয়োগ করলেও সাইবার অপরাধের কোনও ধারা প্রয়োগ করেনি। ফলে, অভিযুক্ত সহজেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। এরপরই হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়।
কৃষ্ণনগর সাইবার থানার এহেন বেহাল দশা দেখে রীতিমতো হতাশা প্রকাশ করেন বিচারপতি বাগচি। শুনানিতে উপস্থিত আইসি’কে এজলাসেই ভর্ৎসনা করেন তিনি। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘এমন ঘটনায় যদি সাইবার অপরাধের ধারা সাইবার থানাই যুক্ত না করে, আর তার ফলে যদি অভিযুক্ত এভাবে জামিন পেয়ে যান, এর দায় কে নেবে?’ বিচারপতি আরও বলেন, ‘গালভরা নাম দিয়ে নয়া যে বিশেষজ্ঞ (সাইবার) থানা তৈরি হল, তার হাল আর পাঁচটা সাধারণ থানার মতোই! তাহলে আর গালভরা নাম দিয়ে নতুন থানা করে লাভ কী!’
এরপরই রাজ্যের পুলিসকে কটাক্ষ করে বিচারপতির মন্তব্য, ‘যুগ পরিবর্তন হয়েছে। উনবিংশ, বিংশ শতাব্দী পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই রাজ্যের পুলিস এখনও সেই লাঠিই চেনে। সাইবার শব্দটাই জানে না।’ এরপরই ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব করে আদালত।