আরাবুলকে বাদ দিয়েই কি ভাঙড় পুনরুদ্ধারে নামবে তৃণমূল? গুঞ্জন
বর্তমান | ২৯ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কি আরাবুল ইসলামকে দলের বাইরে রেখেই লড়বে তৃণমূল? এমনই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে ভাঙড়ে। কারণ ভাঙড়ের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মিসভা, দলীয় সম্মেলনে এখনও ব্রাত্য আরাবুল। কয়েকমাস আগে যেভাবে আরাবুলের অনুগামীদের সঙ্গে তাঁর পাল্টা গোষ্ঠীর গোলমাল হয়েছিল, তাতে ক্ষুব্ধ দলের নেতৃত্ব। এই অবস্থায় আরাবুলকে বাদ দিয়েই সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করেছে তৃণমূলের একটি অংশ। যদিও পাল্টা হুঙ্কার দিয়ে আরাবুল জানিয়ে দিয়েছেন, ভাঙড়ে দলীয় কর্মসূচিতে তাঁকে বাইরে রেখে দল এগতে পারবেন না।
লোকসভা ভোট মিটতেই আরাবুলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে দলের একটা বড় অংশের। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা ও তাঁর অনুগামীদের হাতেই এখন ভাঙড়ের রাশ। আইএসএফকে মূল প্রতিপক্ষ হিসেবে ধরে নিয়ে ঘাসফুল শিবির রণকৌশল সাজাতে শুরু করলেও দলের অন্দরে যে বিভাজন আছে, তা এক প্রকার নিশ্চিত। ২০২৬ সালের ভোটকে সামনে রেখে আরাবুল বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা এখন থেকেই ছোট ছোট কর্মিসভা শুরু করেছেন। সেসব কর্মসূচিতে ডাকা হচ্ছে না ভাঙড়ের ‘তাজা’ নেতাকে।
ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি তাঁর অনুগামীদের নিয়ে আলাদাভাবে বৈঠক করছেন। দলের নিচুতলার কর্মীরা স্বভাবতই বিভ্রান্ত। দলে এমন আড়াআড়ি ভাগ থাকলে ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। আরাবুলকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি পাল্টা গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীরা। তবে তাঁরা হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, আরাবুলকে ছাড়াই গত লোকসভা ভোটে তৃণমূল ভালো ফল করেছে ভাঙড়ে। পরবর্তী বিধানসভা ভোটে সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হবে। এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে আগামী দিনে আরাবুলের ভূমিকা কী হবে, সেদিকেই তাকিয়ে ভাঙড়ের সাধারণ তৃণমূল কর্মীরা। আরাবুল তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ওরা ব্যক্তিগতভাবে কর্মসূচি পালন করছে। দলে একটা শৃঙ্খলা আছে। তার মধ্যে থেকেই সবাইকে চলতে হবে। দল সবটাই দেখছে। নেতৃত্ব এ বিষয়ে নিশ্চয়ই সিদ্ধান্ত নেবে।