• পুকুর ভরাট করে চলছে প্রোমোটিং, অভিযোগ পেয়ে অভিযান পুরসভার
    বর্তমান | ২৯ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: কোনও ওয়ার্ডে আবর্জনা ফেলে একটু একটু করে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছিল পুকুর। আবার কোনও কোনও ওয়ার্ডে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পুকুর ভরাটের পর শুরু হয়েছে নির্মাণকাজ। এই ধরনের একের পর এক অভিযোগ আসায় বুধবার শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় হাওড়া পুরসভা। মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী নিজে এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন। পুকুর বোজানোর পাশাপাশি বেআইনি নির্মাণও আটকান তিনি। পুকুর ভরাট রুখতে আগামী দিনে ধারাবাহিক অভিযান চালানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। 


    হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৩, ৩৮ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি পুকুর বেআইনিভাবে বুঝিয়ে ফেলা হচ্ছে। এই খবর পাওয়ার পরেই বুধবার পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকদের নিয়ে ওই তিনটি এলাকায় অভিযান চালান হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী। আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের হরিপদ ভট্টাচার্য লেনের একটি পুকুর সুকৌশলে কেউ বা কারা বোজানোর কাজ শুরু করেছে। বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ সামগ্রী ফেলে পুকুর বোজানোর ছবি দেখা গিয়েছে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীতানাথ ব্যানার্জি লেনেও। পুকুর ভরাটের পিছনে কে বা কারা যুক্ত, তা সামনে না এলেও স্থানীয় প্রোমোটিং চক্র যে জড়িত, তা স্পষ্ট স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পর দু’টি পুকুর সংস্কার করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন মুখ্য পুর প্রশাসক। অন্যদিকে, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎ চ্যাটার্জি লেনের পুকুরটির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। তারপরেও সেখানে একশ্রেণির অসাধু প্রোমোটার নির্মাণকাজ শুরু করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে গিয়ে সেই কাজও বন্ধ করে দেয় পুরসভা। 


    হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘রীতিমতো প্রকাশ্যে পুকুর বোজানো হচ্ছে। বেআইনি প্রোমোটিংয়ের কারণেই এই ঘটনা ঘটছে। পুকুর ভরাটের মতো বেআইনি কাজ পুরসভা কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। আগামী দিনে অভিযান চালিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পুরসভার দাবি, শহরের বেশ কয়েকটি বুজে আসা পুকুর সংস্কার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে সেই কাজ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ৩৩, ৩৮ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, ‘পুলিস-প্রশাসনের নাকের ডগায় দাঁড়িয়ে পুকুর বোজানো হচ্ছে। অথচ সব দেখেও কেউ ব্যবস্থা নেয় না। পুরসভা পুকুরগুলি সংস্কার করলে খুব ভালো হয়। এতে বর্ষার সময় নিকাশির সমস্যাও অনেকটা মিটবে।’
  • Link to this news (বর্তমান)