পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযোগকারী ট্যাক্সিচালক শুভঙ্কর মাঝি জানিয়েছেন, তিনি বুধবার রাতে বিবেকানন্দ রোড ধরে আসার সময়ে তাঁর ট্যাক্সির সঙ্গে ধাক্কা লাগে আয়ুষের দামি গাড়ির। আয়ুষই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। দু’টি গাড়ি খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও ওই ঘটনা ঘিরে দুই চালকের মধ্যে বচসা শুরু হয়। আয়ুষ দাবি করেন, তাঁর গাড়ির ক্ষতিপূরণ হিসাবে টাকা দিতে হবে শুভঙ্করকে। তাতে রাজি হননি ওই ট্যাক্সিচালক। এতে উভয়ের মধ্যে বচসা আরও তীব্র হয়। শুভঙ্কর অভিযোগে জানিয়েছেন, বচসার মধ্যেই তাঁকে মারধর করেন আয়ুষ। তাঁর কাছে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। বিষয়টি এখানেই শেষ হয়নি। এর পরে ট্যাক্সির চাবিও ছিনিয়ে নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালান অভিযুক্ত যুবক।
পুলিশ জানিয়েছে, ট্যাক্সিটি মাঝপথে দাঁড়িয়ে থাকায় বিবেকানন্দ রোড ধরে চলাচলকারী যানবাহনের গতি বাধা পাচ্ছিল। শেষে ট্যাক্সিচালক থানায় মারধর ও লুটের অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে রাতেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এর কিছু ক্ষণ পরে অবস্থা খতিয়ে দেখতে সেখানে পৌঁছন অভিযুক্ত আয়ুষও। তখনই তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশ তাঁর কাছ থেকে ট্যাক্সিটির চাবির পাশাপাশি নগদ চার হাজার টাকা উদ্ধার করেছে।