ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: শোকজের জবাব দিয়েও ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বুঝিয়ে দিলেন নিজের অবস্থানে অনড় তিনি। জেলার দুই নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তিনি। তাঁদের বিরুদ্ধে মন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলেও দাবি করেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন কুকথা বলেও শাস্তির মুখে পড়ছেন না, সেই প্রশ্নও তুললেন তিনি।
লাগাতার বেফাঁস মন্তব্যের জেরে চলতি সপ্তাহেই শোকজের মুখে পড়েন ভরতপুরের বিধায়ক কবীর। মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়ে শুক্রবার সকালে বিধানসভায় গিয়ে জবাব দেন তিনি। দুঃখপ্রকাশও করেন। এর পরই বেরিয়ে ফের বুঝিয়ে দেন, তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরেননি। বলেন, “আমি বিভিন্ন বিষয় বারবার শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছি। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, রাজ্য নেতৃত্বকে সংগঠনের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তাতে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম।” হুমায়ুনের কথায়, “বিধায়ক অপূর্ব সরকার এবং রবিউল আলম চৌধুরী পঞ্চায়েত টিকিট দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছেন। মলয় ঘটককে একাধিকবার অভিযোগ জানালেও পদক্ষেপ হয়নি।”
এখানেই শেষ নয়। তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হলেও কুকথা বলে কেন শাস্তির মুখে পড়ছেন না সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়? এদিন সেই প্রশ্নও করলেন হুমায়ুন। বুঝিয়ে দিলেন ক্ষমা চাইলেও দলের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে। উল্লেখ্য, গত সোমবার কালীঘাটে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনই দলের শৃঙ্খলারক্ষায় একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার ঠিক পরেরদিনই কোনও নির্দেশের তোয়াক্কা না করে বেফাঁস মন্তব্য করেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। পরবর্তীতে শোকজ করা হয় তাঁকে।