পুলিশ সূত্রের খবর, বর্ধমান শহরের ভাতছালা এলাকার বাসিন্দা দিব্যেন্দু চৌধুরী চলতি বছরের ২৭ জুন হোয়াট্সঅ্যাপে একটি মেসেজ পান। তাতে বার্তা প্রদানকারী নিজেকে একটি বেসরকারি সংস্থার ‘কাস্টমার কেয়ার অফিসার’ হিসাবে পরিচয় দেন। মেসেজে কথাবার্তা এগোয়। ওই ‘অফিসার’ আইপিও এবং ইউসি স্টকে বিনিয়োগ করার কথা বলেন দিব্যেন্দুকে। ওই বিষয়ে নানা কথাবার্তা বলে তাঁর আস্থা অর্জনের পর হোয়াটস্অ্যাপে একটি লিঙ্ক পাঠান অভিযুক্ত। সেটি ডাউনলোড করতে বলা হয় দিব্যেন্দুকে।
দিব্যেন্দু জানিয়েছেন, মেসেজে পাঠানো অ্যাপ্লিকেশন লিঙ্ক মোবাইলে ডাউনলোড করার পরে তাঁকে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভোট দিতে বলা হয়। তার পর অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে বলা হয় তাঁকে। এর পর কয়েক দফায় ৩৩ লক্ষ ৮০ হাজার ৯৫ টাকা আইপিও ও ইউসি স্টকে বিনিয়োগ করেন। কিছু দিন পর তিনি সেই টাকা তুলতে যান। কিন্তু তাঁকে টাকা আর তুলতে পারেননি। উল্টে আরও ২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করার জন্য বলা হয়। বলা হয়, ওই টাকা বিনিয়োগ না করলে তিনি আর কোনও টাকাই ফেরত পাবেন না। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে দিব্যেন্দুর। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে নির্দিষ্ট একটি পোর্টালের পাশাপাশি বর্ধমান থানায় পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন যুবক। তার তদন্তে নেমে উত্তরপ্রদেশের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার অভিযুক্তকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধার করতে এবং ‘গ্যাং’-এর বাকি সদস্যদের হদিস পেতে ধৃতকে ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চায় পুলিশ। তবে বিচারক ধৃতের সাত দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।