• রাস্তা দখল করে চলছে দোকান দিনবাজারে অভিযান পুরসভার
    বর্তমান | ৩০ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: কার্যত জতুগৃহে পরিণত হয়েছে জলপাইগুড়ির দিনবাজার। রাস্তা দখল করেই চলছে দোকানপাট। বাজারে পলিথিন, টিনের ছাউনির জেরে অবস্থা এমনই যে, অগ্নিকাণ্ড হলে দমকলের গাড়ি ঢোকা সম্ভব নয়। বারবার বলার পরও ব্যবসায়ীদের একাংশ রাস্তা থেকে দোকান, ডালা না সরানোয় শুক্রবার পুলিসকে সঙ্গে অভিযান করল জলপাইগুড়ি পুরসভা। চেয়ারপার্সন পাপিয়া পালের নেতৃত্বে অভিযানে ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলও ছিলেন। বাজারের   রাস্তা থেকে খুলে দেওয়া হয় পলিথিনের ছাউনি। যারা রাস্তা দখল করে দোকান বসিয়েছেন, তাঁদের দ্রুত সরে যেতে বলা হয়। যেসব দোকানদার অবৈধ নির্মাণ করেছেন, তাঁদের ওই নির্মাণ ভেঙে ফেলতে বলেন চেয়ারপার্সন। দু-একদিনের মধ্যে ব্যবসায়ীরা নিজেরা না ভাঙলে পুরসভা বাজারের সমস্ত অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেবে বলে জানান পাপিয়া। দিনবাজারে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। সেখানে ১টাকার বিনিময়ে দোকান দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের। কিন্তু, মার্কেট কমপ্লেক্সে যাচ্ছেন না দোকানদাররা। এদিন পুরসভার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, যাঁরা ওই মার্কেট কমপ্লেক্সে দোকান পেয়েছেন, ১৫ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের সেখানে চলে যেতে হবে। না হলে ওইসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুরসভা।

    দিনবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক শরৎ মণ্ডল বলেন, ২০১৫সালের ৭মে দিনবাজারে অগ্নিকাণ্ড হয়। এরপর রাজ্যের তরফে মার্কেট কমপ্লেক্স বানিয়ে দেওয়া হয়। ১টাকার বিনিময়ে ১১৭ জন ব্যবসায়ীকে দোকান দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, মার্কেট কমপ্লেক্সে পানীয় জল, শৌচালয় সহ কিছু সমস্যার কারণে ব্যবসায়ীরা সেখানে যেতে রাজি হননি। ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, মার্কেট কমপ্লেক্সে দোকান সরিয়ে নিয়ে গেলে তাঁদের বিক্রি কমে যাবে। যদিও তা মানতে নারাজ দিনবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক। তাঁর বক্তব্য, আমি তো ওই মার্কেট কমপ্লেক্সে দেড়বছর ধরে দোকান করছি। ওখানে গেলে ব্যবসা কম হবে, এই ধারণা ঠিক নয়।

    পুরসভার চেয়ারপার্সন বলেন, মার্কেট কমপ্লেক্সে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুতের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে। অভিযান চলাকালীন ব্যবসায়ীদের একাংশ দিনবাজারের ভিতরের বেহাল রাস্তা নিয়ে সরব হন। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভা কর আদায় করলেও বাজারের উন্নয়নে নজর নেই। রাস্তার অবস্থা এমনই যে, জলকাদায় হাঁটতে পারেন না ক্রেতারা। চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সন্দীপ মাহাত বলেন, দিনবাজারের রাস্তায় ৫৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পেভার ব্লকের কাজ হবে।

    এদিনের অভিযানে দিনবাজারে ঢোকার মুখে রাস্তা আটকে ঠেলায় ফল বিক্রি নিয়েও কড়া হুঁশিয়ারি দেন পুরকর্তারা। চেয়ারপার্সন বলেন, এভাবে রাস্তা আটকে ফলের দোকান বসানো যাবে না। দিনবাজারে পাইকারি মাছবাজার পরিদর্শন করে পুরসভার তরফে ব্যবসায়ীদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, মাছের থার্মোকলের বাক্স করলা নদীতে ফেলছেন অনেকে। এটা বন্ধ করতে হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)