উদ্বোধনের আগে লুকসানের ওই মন্দির চত্বরে আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে একটি শিব পুরাণ মহাযজ্ঞ। চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেখানে উপস্থিত থাকবেন নেপালের আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন কথা বাচক রাধিকা দাসী। মহাযজ্ঞে প্রতিদিন ২-৫ হাজার ভক্তের সমাগম হবে বলে উদ্যোক্তাদের আশা।
শুক্রবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে লুকসানের পশুপতিনাথ মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। মন্দিরটি উদ্বোধন হয়ে গেলে তা যে উত্তরবঙ্গের একটি অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থানে পরিণত হবে এমনটাই আশা ওই কমিটির। মন্দিরকে ঘিরে এলাকার অর্থনীতিও চাঙ্গা হবার স্বপ্ন দেখছেন লুকসানের বাসিন্দারা।
পশুপতিনাথ সিদ্ধ মন্দিরের সভাপতি প্রেম ছেত্রী বলেন, স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন পূরণের পথে। মন্দির তৈরিতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হচ্ছে। আমরা সকলের কাছে সহযোগিতা প্রার্থনা করছি। মন্দিরটি উদ্বোধন হয়ে গেলে যাদের পক্ষে নেপালে যাওয়া সম্ভব নয় তাঁরা এখানে এসেই দেবাদিদেবকে পুজো করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে লুকসানের ভুট্টাবাড়ি বস্তিতে ওই মন্দির তৈরির জন্য জমি দিয়েছেন গণেশ পান্ডে নামে এক ব্যক্তি। এর বাইরে আরো অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সহযোগিতা আসছে বিদেশ থেকেও।
উল্লেখ্য, লুকসানে লিম্বু সুব্বা জনজাতিদের নিজস্ব মন্দির 'ইউমা মাঙহিম' ও রয়েছে। যা গোটা রাজ্যের মধ্যে একমাত্র। পশুপতিনাথ মন্দিরটির উদ্বোধন হয়ে গেলে এলাকার গর্বের মুকুটে আরো একটি পালক যুক্ত হবে। এদিনের সাংবাদিক সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরশুরাম চৌধুরী, মনোজ ছেত্রীর মত অন্য কর্তারা।