রাজভবন সূত্রে খবর, উপনির্বাচনে জয়ী ৬ প্রার্থীকে শপথ বাক্য পাঠ করানোর বিষয়টি বিধানসভাতেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এর আগে শপথবাক্য পাঠ করানো নিয়ে দুবার রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত হয়েছিল। প্রথমবার রাজ্যপাল বলেছিলেন তিনি রাজভবনে শপথবাক্য পাঠ করাতে চান। সেবার জয়ী প্রার্থীরা রাজভবনে গিয়ে শপথ নিতে চাননি।
শপথবাক্য পাঠ করানো নিয়ে সংঘাত শুরু হয়েছিল আরও একবার। বিধানসভা থেকে জয়ী প্রার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করানোর আবেদন গেলেও রাজভবন থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। এরকম এক পরিস্থিতিতে স্পিকার নিয়ম মেনে জয়ী প্রার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করিয়ে দেন। এনিয়ে রাজ্যপালের তরফে আপত্তি তোলা হয়েছিল।
এই সংঘাতের মধ্যেও উপনির্বচনে জয়ী প্রার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করানোর অনুরোধ করা হয় রাজ্যের তরফে। তবে এবার শোনা যাচ্ছে রাজ্যপাল জয়ী ৬ প্রার্থীকে শপথবাক্য পাঠ করানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। বিধানসভাকে তা জানিয়েও দিয়েছেন। শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য তিনি বিধানসভায় আসবেন। এমনটাই জানা যাচ্ছে।
ভগবানগোলা ও বরাহনগর উপনির্বচনে জিতে আসা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে রাজ্য়পাল বলেছিলেন ওই দুই প্রার্থীকে রাজভনেই শপথবাক্য পাঠ করাতে চান। কিন্তু তাতে রাজি হননি ওই দুজন। দীর্ঘদিন তাঁরা বিধানসভা চত্বরে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধরনা দেন। শেষপর্যন্ত ওই দুই প্রার্থীকে শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার।
রাজপালের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। সেখানে তিনি জানান, রাজ্যের উন্নতির জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একসাথে কাজ করতে চান। উপনির্বাচনে জয়ী ৬ প্রার্থীকে শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য গত সোমবার আবেদন যায় রাজ্যপালের কাছে। তার পরই রাজ্যপালের এমন ইচ্ছেপ্রকাশ। সোমবার তিনি বিধানসভায় আসতে চান সকাল এগারোটায়। তারপরেই শপথবাক্য পাঠ করাবেন।