বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় আজ বলেন, বাংলাদেশ যা হচ্ছে তা অন্যায়। বাংলাদেশ সরকার এ নিয়ে বিশেষ কিছু করছে না। ইউনূস নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। আমার মনে হয় গত ৯০ দিন ধরে যেভাবে উনি সরকার চালাচ্ছেন সম্পূর্ণ বেআইনি একটা সরকার। এবং তাদের প্রধানমন্ত্রী এখনও পদত্যাগ করেননি। যেভাবে তিনি এটা অস্থায়ী সরকার গঠন করে তার প্রধান হয়েছেন, রাতে যেভাবে অন্য ধর্মের উপর যেভাবে আক্রমণ চলছে তাতে আমি মনে করি নোবেল কমিটির এই মুহূর্তে তার নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়া উচিত। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সব দেশ নজর রাখছে। এই অসভ্যতা চলতে পারে না কোথাও।
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে প্রথম দিন অন্যান্য সাধারণ অপরাধীদের সঙ্গে রাখা হয়। কোন সভ্য দেশে এরকম হয় বলে আমি শুনিনি। আমাদের এখানে যিনি ইস্কনের আছেন তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে তাকে যেকোনো সময় মেরে ফেলা হতে পারে। যদি আটকে রাখতেই হয়, অসভ্য বর্বর সরকার যেটা চলছে, তাহলে কোন গেস্ট হাউসে আটকে, রাখুন কোন আলাদা জায়গায় নিয়ে গিয়ে রাখুন। যখন আডবাণীকে বিহার সরকার অ্যারেস্ট করেছিল রথযাত্রা নিয়ে তখন তাকে গেস্ট হাউসে রাখা হয়েছিল। আপনারা এতই অসভ্যতা করছেন হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে, যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সাধারণ অপরাধীদের সঙ্গে আটকে রেখেছেন। এই ঝুঁকি আপনারা নিচ্ছেন। আপনারা জানেন এর ফল কী হতে পারে? হিন্দুদের উপরে আক্রমণ আমি তীব্র নিন্দা করছি। যারা আক্রমণ চালাচ্ছে তারা জেনে রাখুন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তাদের ধর্মীয় সম্প্রদায়ও আছে। যারা মিলে মিশে থাকে। যেমন আমাদের ভারতবর্ষে। তিনি তো সন্ন্যাসী তাকে তো জেলের ভিতর ধর্মাচরণ করতে দিতে হবে। এটা আপনারা বন্ধ করছেন কীভাবে। তাকে আপনারা কী খাওয়াচ্ছেন সেটাও জানা যাচ্ছে না। জোর করে গোমাংস খাওয়ানো হচ্ছে কিনা তাও জানা যাচ্ছে না।
এখানেই থেমে থাকেননি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, গুন্ডামি চলছে এবং সেনাবাহিনী এখনো কোনও প্রত্যক্ষ ভূমিকা নেয়নি। যদিও অনেকে আশঙ্কা করছেন যে একটা সেনা অভ্যুত্থান হয়ে যেতে পারে। তাদের কাছ থেকে আমরা এর থেকে বেশি আর কি প্রত্যাশা করেত পারি! একজন স্টেটের হেড যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি এটাকে সামলাতে পারছেন না? যদি না পারেন ছেড়ে দিন, তার নোবেল পুরস্কারটা কেড়ে নেওয়া হোক।