দেবব্রত দাস, খাতরা: আবাস যোজনার সমীক্ষা শুরু হওয়ার পর বেনিয়মের অভিযোগ উঠছিল। পাকা বাড়ি থাকার পরও আবাসের তালিকায় নাম থাকছিল অনেকের। এবার দোতলা বাড়ি থাকার পরও তালিকায় নাম আসতেই বিডিওর কাছে বাড়ি না নেওয়ার জন্য চিঠি দিলেন বাঁকুড়ার তৃণমূল কর্মী। যদিও বিরোধীদের দাবি, সাধারণ মানুষের নজর ঘোরাতেই এই সিদ্ধান্ত।
বিষয়টি ঠিক কী? বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী নিমাই মাঝির নাম রয়েছে আবাসের তালিকায়। কিন্তু নিমাই ও তাঁর ভাইয়ের প্রাসাদোপম দোতলা বাড়ি রয়েছে। এবারের সমীক্ষার পর তালিকায় নাম উঠতেই বির্তকের সৃষ্টি হয়। তার পরই বিডিও অফিসে লিখিত আবেদন জানিয়ে তাঁরা বলেছেন তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হোক। তবে প্রশ্ন উঠছে, পাকা বাড়ি থাকার পরও আবাসের বাড়ি পেতে আবেদন কেন? তাঁরা জানাচ্ছেন, কয়েকবছর আগে আবেদনের সময় তাঁদের পাকা ছিল না। এবার নাম আসতেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
পাত্রসায়েরের বিডিও সুভাষচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “২০২১-এর চূড়ান্ত তালিকায় ওই দুজনের নাম ছিল। তবে তালিকায় নাম থাকলেও ওঁরা বাড়ি নিতে ইচ্ছুক নন বলে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।” বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক তৃণমূল যুব সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন, “বাড়ি তো তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম হয়ে আসে না। স্থানীয় নাগরিক হিসাবে ওঁদের নাম এসেছিল। এটা পুরোপুরি প্রশাসনের ব্যাপার। দলের কিছু নেই।” বালসি ২ পঞ্চায়েত প্রধান বুদ্ধদেব পাল বলেন, “আবাস তালিকায় ওঁদের নাম ছিল। এখন ওঁরা পাকা বাড়ি থাকার জন্য বাড়ি নিতে ইচ্ছুক নন বলে বিডিওকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। প্রকৃত একজন গরিব মানুষ বাড়ি পাবেন।”