পুনর্বাসনের জন্য বনছায়া গ্রামে জমি দেখে এলেন জয়ন্তী বনবস্তির বাসিন্দারা
বর্তমান | ৩০ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের গাঙ্গুটিয়া ও ভুটিয়া বনবস্তির বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই পুনর্বাসন দিয়েছে রাজ্য। কালচিনি ব্লকের ভাটপাড়া চা বাগানের কাছে বিজয়পুরে বনছায়া গ্রামে ওই দুই বনবস্তির বাসিন্দারা পুনর্বাসন পেয়েছেন। বক্সার জয়ন্তী বনবস্তির বাসিন্দাদেরও পুনর্বাসনের প্রস্তাব রয়েছে। সেই মতো চূড়ান্ত নির্দেশিকা না এলেও গত বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে জয়ন্তী বনবস্তির বাসিন্দাদের বিজয়পুরে বনছায়া গ্রামে জমি দেখানো হয়। বাসিন্দাদের সঙ্গে জমি পরিদর্শনে ছিলেন বক্সার পশ্চিম ও পূর্ব ডিভিশনের দুই উপক্ষেত্র অধিকর্তা হরিকৃষ্ণান পিজে ও দেবাশিস শর্মা। ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পর্যটন দপ্তরের কর্তারাও। পাঁচটি বাসে করে জয়ন্তী বনস্তির বাসিন্দাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম দেওয়া বনছায়া গ্রামে। প্রত্যেক পরিবারের সদস্যরাই ছিলেন সেখানে। বনদপ্তরের সমীক্ষা অনুসারে পুনর্বাসনের জন্য জয়ন্তী বনবস্তিতে ৪৩১ জন উপভোক্তার নাম রয়েছে। জয়ন্তী গ্রামসভা কমিটির সম্পাদক আশিস দে বলেন, সরকারি জমি দেখা হয়েছে। এ বিষয়ে গ্রামবাসীরা যা বলবেন সেটাই চূড়ান্ত হবে। জয়ন্তী বনবস্তির বাসিন্দা রাজীব লামা বলেন, জমি দেখতে গিয়েছিলাম। গ্রামের মানুষ যেদিকে মতামত দেবে আমিও সেদিকেই থাকব।
বনছায়া গ্রামে পুনর্বাসন পাওয়া গাঙ্গুটিয়া ও ভুটিয়া বনবস্তির বাসিন্দাদের জন্য রাজ্য সরকার পরিস্রুত পানীয় জল, বিদ্যুৎ সংযোগ ও রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে। স্কুল ও বাজারঘাট তৈরি করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। গ্রামের এমন উন্নয়ন দেখে মোটের উপর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জয়ন্তীর বাসিন্দাদের অনেকেই। তবে জয়ন্তীর মানুষের প্রথম থেকেই দাবি আলিপুরদুয়ার জেলা শহরের কাছাকাছি ৩১সি জাতীয় সড়কের আশপাশে কোথাও পুনর্বাসন হলে তাঁদের সুবিধা হবে। যদিও ওই জায়গাটির দূরত্ব ৪০ কিমির বেশি।
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটির নির্দেশে বক্সার বনবস্তিগুলিকে অন্যত্র সরানো হচ্ছে। বনছায়া গ্রামে গাঙ্গুটিয়া ও ভুটিয়া বনবস্তির প্রতিটি পরিবারকে বাড়ি তৈরির জন্য আট শতক করে জমি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পরিবারের প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক সদস্যকে ১৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক প্যাকেজও দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব ডিভিশনের উপক্ষেত্র অধিকর্তা দেবাশিস শর্মা বলেন, জয়ন্তী বনবস্তির বাসিন্দারা বনছায়া গ্রামে জমি দেখেছেন। এ বিষয়ে চূড়ান্ত নির্দেশিকা আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।