নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে প্রকল্প চালু করেছে একাধিক রাজের সরকার। এমনকী, নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে একাধিক ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্যকেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্পের পথে হাঁটতে হয়েছে। তবে বাংলার আদলে প্রকল্প এনেও হোঁচট খেতে হচ্ছে বিজেপি পরিচালিত রাজ্যগুলিকে। কারণ, একমাত্র এ রাজ্যেই ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সমস্ত মহিলাকে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়। অন্যান্য রাজ্যে এক্ষেত্রে একাধিক শর্ত রয়েছে। ফলে মহিলাদের একটা বড় অংশ প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। এ রাজ্যে এমন কোনও শর্ত না থাকায় প্রকল্পের ফলে সামগ্রিকভাবে রাজ্যের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত হচ্ছে। শুক্রবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। তাঁর কথায়, ‘অন্ধ্রপ্রদেশে শুধুমাত্র বিবাহিত মহিলারাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে চালু হওয়া প্রকল্পের সুবিধা পান। তেলেঙ্গানায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকারাই এমন প্রকল্পের সুবিধা পান। মহারাষ্ট্রেও নির্দিষ্ট আয়ের নীচে থাকা মহিলাদের জন্য এই সুবিধা দেওয়ার কথা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, বাংলায় বর্তমানে ২ কোটি ১৫ লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পান। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বর থেকে আরও পাঁচ লক্ষের বেশি মহিলাকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।